এক খুন ঢাকতে ৩ খুনের ছক ছিল উদয়নের

Last Updated:

শুধু আকাঙ্খা নয়। গোটা শর্মা পরিবারকেই দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল সিরিয়াল কিলার উদয়ন।

#বাঁকুড়া: শুধু আকাঙ্খা নয়। গোটা শর্মা পরিবারকেই দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল সিরিয়াল কিলার উদয়ন। পুলিশি জেরায় এমনই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করেছে সে। আকাঙ্খার বাঁকুড়ার বাড়িতে গিয়ে বিপদ আঁচ করতে পেরেছিল উদয়ন। তখনই আকাঙ্কার সঙ্গে দেখা করানোর টোপ দেয় সে।
শর্মা পরিবারকে বারবার ভোপাল আসার জন্য চাপ দেয়। তারপর কী ঘটল? কীভাবে বিপদ এড়ালেন আকাঙ্খার বাবা-মা আর ভাই?
পরিকল্পনা মাফিক একটি খুন। আর সেই অপরাধ ধামাচাপা দিতে আরও তিনটি খুনের ছক। আকাঙ্খা শর্মা হত্যা মামলায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে বাঁকুড়া পুলিশ। জেরায় উদয়ন এমন কিছু তথ্য জানিয়েছে, যা এই মামলার রহস্য সমাধানে কাজে লাগবে। জেরায় জানা গেছে সাইকো-কিলার উদয়ন দাসের অপরাধ মনের নানান দিক। গতবছর অক্টোবর নাগাদ আকাঙ্খার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ভাই আয়ুষের কাছে মেসেজ পাঠায় উদয়ন। সেখানে লেখা ছিল,
advertisement
advertisement
 'আকাঙ্খা'র হোয়াটসঅ্যাপ-
- মা-বাবা আমায় ক্ষমা কোরো। আমি উদয়নকে ভালবাসি। একটা কাজে ও বাঁকুড়া যাচ্ছে। ওকে সাহায্য কোরো
এরপরই ৫ অক্টোবর ভোপাল থেকে পুরুলিয়া এক্সপ্রেসে বাঁকুড়া রওনা হয় উদয়ন ৷ ৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ বাঁকুড়া স্টেশন পৌঁছয় সে ৷ ওঠে সপ্তপর্ণা হোটেলে ৷  রাতেই হোটেলে দেখা করতে আসে আকাঙ্খার ভাই আয়ুষ ৷  উদয়নকে নিয়ে যায় রবীন্দ্রসরণির বাড়িতে ৷  পরের দু'দিন আকাঙ্খার বাড়িতেই ছিল উদয়ন ৷
advertisement
শর্মা পরিবারের বাকি তিন সদস্যকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত সেসময়ই। মেয়ে আকাঙ্খার জন্য শর্মা পরিবার যে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন সেটা বুঝতে পারে উদয়ন। তার অপরাধ সমস্ত যে ফাঁস হয়ে যেতে পারে সেটাও বুঝে যায় উদয়ন। এই বিপদের আঁচ করেই, গোটা পরিবারকে খুনের ছক কষে। আকাঙ্খার সঙ্গে দেখা করানোর টোপ দিয়ে, তাঁদের বারবার ভোপাল আসার জন্য চাপ দেয় সে। শর্মা পরিবারকে উদয়ন বলে, ‘আমেরিকার সিম এখনও হাতে না পাওয়ায় যোগাযোগ করতে পারছে না আকাঙ্খা। ওর সঙ্গে দেখা করতে আপনারা আমেরিকা যেতে পারেন। আমিই ভিসার ব্যবস্থা করে দেব। তার আগে একবার ভোপাল আসুন ৷’
advertisement
গত বছরের শেষদিক। ডিসেম্বরে মেয়ের খোঁজে প্রথমে বাঁকুড়া পুলিশ এবং তারপর ভোপাল পুলিশের কাছে যায় শর্মা পরিবার। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ভোপালের সাকেতনগরে উদয়নের বাড়িতেও যায় আকাঙ্খার বাবা ও ভাই।
কিন্তু বন্ধ দরজার বাইরে থেকেই ঘুরে আসেন তাঁরা। এরই মাঝে প্রথমে মেসেজ ও তারপর ফোন করে শর্মা পরিবারকে ফের ভোপাল আসার জন্য চাপ দেয় উদয়ন। বলে, ‘২২ জানুয়ারি ভোপালে আসছে আকাঙ্খা। আপনাদের ওপর ও খুব রেগে আছে। তাই বাঁকুড়ায় যেতে চাইছে না। আয়ুষ তুমি ভোপালে এসে আকাঙ্খার সঙ্গে দেখা করে যাও। আপনারা সবাই আসতে পারলে খুব ভাল হয় ৷’
advertisement
৫ জানুয়ারি বাঁকুড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে আকাঙ্খার পরিবার। তদন্তে নেমে সামনে আসে খুনের ঘটনা। পুলিশের দাবি, উদয়নের ফাঁদে পা দিয়ে ভোপাল গেলে, হয়তো গোটা শর্মা পরিবারেই আকাঙ্খার মতো পরিণতি হত।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
এক খুন ঢাকতে ৩ খুনের ছক ছিল উদয়নের
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement