রান্না করাটা কিন্তু একটা প্রকৃত শিল্প , আর সেটা যদি প্রাসাদের রান্নাঘরে রাজকীয় শেফদের দ্বারা তৈরী হয় তা হলে তো তার জবাব নেই। প্রতিটি রাজ পরিবারই তাদের পারিবারিক রান্নার ঐতিহ্যকে পবিত্র রাখে, শুধুমাত্র তাদের বিশ্বস্ত বাবুর্চি এবং তাদের বংশধরদের সাথে শেয়ার করে নেয়। এদের রান্নার প্রতিটি পদ অত্যন্ত সুস্বাদু , বিরল কোনো উপকরণ বা বিশেষ কৌশল কিংবা হয়তো রান্নার প্রতি ভালবাসা স্বাদের মানকে নিখুঁত করে তোলে।
দিল্লিবাসীদের কাছে এটি একটি বিরল সুযোগ। আগামী চার সপ্তাহান্তে রোজিয়েট হাউসের দ্বারা আয়োজিত এ ট্রিস্ট উইথ রয়্যালটি , চারটি রাজ পরিবারের ঐতিহ্যবাহী রান্নার স্বাদ উপভোগ করতে চলে যেতে পারেন কিচেন অফ দ্য কিংসে। রয়্যাল ফেবলসের সাথে পার্টনারশিপে আয়োজিত এই বিলাসবহুল নৈশভোজে, একজন রাজবংশীয় যুবক বিশেষ অতিথিদের কাছে তার নিজের রান্নার দক্ষতা উপস্থাপন করবেন।
গত ১৮ই নভেম্বর এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। সেই দিনই কাংড়া-লাম্বাগরাঁর রানি শৈলজা কাটোচের উপস্থাপনায় আ-লা-কার্ট নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। রানী শৈলজা কাটোচ , একজন সাইলানা রাজকন্যা তার পৈতৃক এবং বৈবাহিক সূত্রে পাওয়া বেশ কিছু ঐতিহ্যশালী রান্নার ওপর দক্ষতা অর্জন করেছেন। দুই রাজপুতানার বিখ্যাত রন্ধনপ্রণালী থেকে নির্বাচিত কিছু বিশেষ পদ রোজিয়েট হাউসের ' ক্ষীর ' নামক রেস্তোরাঁতে নৈশভোজে অতিথিদের জন্য পরিবেশন করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় সপ্তাহান্তে রামপুরের নবাব কাজিম আলি খানকে রামপুরের লোভনীয় অবধি রন্ধনপ্রণালী উপস্থাপন করতে দেখা গেছে। প্রিন্সলি ইন্ডিয়ার আরও দু'জন বংশধর আগামী দুই সপ্তাহান্তে অতিথিদের কাছে তাদের উত্তরাধিকারসূত্রে কিছু বিশেষ রান্নার প্রণালী প্রদর্শন করবেন । তৃতীয় সপ্তাহান্তে, জম্মু ও কাশ্মীরের টিকারানি রিতু এবং টিকাসাহেব অজাতশত্রু সিং অতিথিদের জন্য একসাথে জম্মুর ডোগরি খাবার এবং কাশ্মীরের ওয়াজওয়ান নামক একটি দুর্দান্ত পদ রাখবেন । অনুষ্ঠানের শেষ সপ্তাহান্তে, অতিথিরা ভাইন্সরগড়ের কুনওয়ার হেমেন্দ্র সিংয়ের সেরা কিছু মেওয়ারি খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Delhi, Food, Hotel, Kitchen, Royal Family