Tripura News: নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনের লক্ষ্যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ নিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার: মানিক সাহা

Last Updated:

সাম্প্রতিক সময়ে ত্রিপুরা রাজ্য জুড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনের লক্ষ্যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’
নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনের লক্ষ্যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’
আগরতলা: ২০১৮ সালের আগে রাজ্য নেশাযুক্ত ত্রিপুরা ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে বর্তমানে সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নেশামুক্ত ত্রিপুরায় পরিবর্তিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশনা অনুসারে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার। রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। ‘নেশামুক্ত রাজ্য গঠনে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে’ আনীত নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
এবিষয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা জানান, ত্রিপুরায় বিভিন্ন নেশা সামগ্রী ব্যবহারের ব্যাপকতায় রাজ্যের জনমানসে বিশেষত ছাত্র ও যুবসমাজে এর ক্ষতিকর প্রভাব লক্ষ্য করে রাজ্য সরকার গুরুত্ব সহকারে নেশা বিরোধী অভিযান ব্যাপকভাবে শুরু করে। এই অভিযানের ফলে রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে বেআইনী নেশা সামগ্রী যেমন – গাঁজা, কফ সিরাপ, নেশার ট্যাবলেট, হেরোইন ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাঁজা গাছ ধ্বংস করা-সহ সংশ্লিষ্ট মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি, সহযোগী ও নেশাদ্রব্য চালানকারীদের গ্রেফতার করেছে।     
advertisement
advertisement
তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিন বছরে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় এনডিপিএস মামলায় প্রচুর সংখ্যায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। ২০২২ সালে ৫৬২টি মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ৭৫৯ জন। ২০২৩ সালে ৬৩৩টি মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ১০৫২ জন। ২০২৪ সালে ৪৭০টি মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ৮৮৬ জন অভিযুক্ত। ৩ বছরে মোট ১,৬৬৫টি মামলায় ২৬৯৭ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এই সময়কালে অর্থাৎ ৩ বছরে রাজ্য পুলিশের হাতে বাজেয়াপ্ত নেশাসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- গাঁজা ১,৫৪,৬৫৮ কেজি, কফ্-সিরাপ ৫,৮২,১০০ বোতল, ২৫,৬২,৭৯১টি ট্যাবলেট, হেরোইন ৩৪,৯৭১ গ্রাম, ধ্বংসকৃত গাঁজার চারার সংখ্যা ২,৪৫,৯১,২৫৮টি। আর গাড়ি সহ বাজেয়াপ্ত করা নেশা সামগ্রীর মূল্য ১,৫৮৭ কোটি ৪৭ লক্ষ ৪১ হাজার ৭৬২ টাকা। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পরিমাণে গাঁজা গাছ ও চারা ধ্বংস করেছে রাজ্য পুলিশ। যা বাজারমূল্যের হিসেবে বাজেয়াপ্ত নেশাসামগ্রীর পরিমান প্রায় দ্বিগুনের অধিক (১০৬ শতাংশ)।
advertisement
সভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের নির্দেশানুসারে রাজ্যের বিভিন্ন দফতর সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দফতর, স্বরাষ্ট্র দফতর, শিক্ষা দফতর, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দফতর, নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো এবং বিভিন্ন এন.জি.ও-দের সহায়তায় একটি স্টেট লেভেল নেশামুক্ত ভারত ক্যাম্পেন কমিটি ও বিভিন্ন জেলায় ডিস্ট্রিক্ট লেভেল নেশামুক্ত ভারত ক্যাম্পেন কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার উদ্দেশ্য নেশার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা এবং তার প্রতিরোধের বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা। রাজ্যে নেশা দ্রব্য ব্যবহারের লাগামহীন বৃদ্ধি এবং সেটা থেকে উত্তরনের লক্ষ্যে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ‘খেলো ত্রিপুরা, সুস্থ ত্রিপুরা প্রকল্পের অধীনে নেশামুক্ত ত্রিপুরা নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করে। যার মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি ব্লক, মহকুমা, জেলা, পৌরসভা, নগরপঞ্চায়েত এবং ক্লাবগুলিতে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা হয়। এছাড়াও প্রতিটি এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Tripura News: নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনের লক্ষ্যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ নিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার: মানিক সাহা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement