হোম /খবর /দেশ /
হঠাৎ করেই জোটের মঞ্চে হাজির ‘বুবাগ্রা’, তারপর?

Tripura Assembly Election 2023: হঠাৎ করেই জোটের মঞ্চে হাজির ‘বুবাগ্রা’, তারপর?

হঠাৎ করেই জোটের মঞ্চে হাজির ‘বুবাগ্রা’, তারপর?

হঠাৎ করেই জোটের মঞ্চে হাজির ‘বুবাগ্রা’, তারপর?

সুদীপকে পাশে নিয়েই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বার্তা মহারাজের ৷ 

  • Share this:

আগরতলা: জোটে আসার ডাক দিয়েছিল দুই রাজনৈতিক দলই ৷ বাম-কংগ্রেস জোটের সেই ডাক আগেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য। মহারাজার তিপ্রামোথা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল একাই লড়বে তারা। না বিজেপি, না বাম-কংগ্রেস জোট কারোও দিকেই ঝোঁকেনি মহারাজার দল। উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদের সমর্থন যেদিকে যাবে, সেদিকেই ত্রিপুরার সরকার গঠনে বাড়তি সাহায্য করবে তিপ্রামোথা এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। আর সেই মহারাজা প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য ভোটের প্রচারে পৌঁছে গেলেন পুরুষোত্তম রায় বর্মণের মঞ্চে।

কে এই পুরুষোত্তম রায় বর্মণ? ইনি হচ্ছেন বাম-কংগ্রেস জোটের একমাত্র নির্দল প্রার্থী। আগরতলা বা ত্রিপুরার আইনজীবী মহলের এক পরিচিত নাম তিনি। আর একেই এবার সমর্থন জানিয়েছে, তিপ্রামোথা প্রধান প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই পুরুষোত্তম বাবুর মঞ্চে পৌঁছে যান প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য। সেই সময় তাঁর সমর্থনে বক্তব্য রাখছিলেন আগরতলা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণ। এর মধ্যে প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্যকে দেখে সকলেই অবাক হয়ে যায়। মঞ্চের বাঁ-দিকে কালো পাঞ্জাবি আর গলায় উত্তরীয় পড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য। প্রার্থী পুরুষোত্তম রায় বর্মণ ও সুদীপ রায় বর্মণ সাথে সাথেই তাকে মঞ্চে ডেকে নেন৷ যদিও মঞ্চে আসা নিয়ে তার মধ্যে একটা টানাপোড়েন কাজ করছিল।

আরও পড়ুন- ডবল ইঞ্জিন সরকার সুরক্ষিত নয়... ভোট প্রচারে এসে বার্তা কুণালের

যদিও সুদীপের ডাকে শেষমেষ মঞ্চে আসেন প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য। আর তিনি এসেই বলেন, ‘‘আমি এই কেন্দ্রের ভোটার নই ৷ যদি ভোটার হতাম তাহলে আপনাকেই ভোট দিতাম।  তবে এবার আমাদের শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট করতে হবে। সবাই আমরা যে যে রাজনৈতিক দলের হই না কেন ভোট মিটলে সবাই আমরা পরিচিত। তবে সকলে মিলে শান্তিপূর্ণ ভোট করুন৷ আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই।’’ মহারাজা প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য যখন এই কথাগুলো বলছেন, তখন চারিদিকে ‘বুবাগ্রা’, 'বুবাগ্রা', আওয়াজ উঠছে। মিনিট দশেক সময় কাটালেও, জোটের মঞ্চে, প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্যর উপস্থিতি ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বিজেপির বিরোধীতায়, বিভিন্ন সভা মঞ্চ থেকে সরব হয়েছিলেন তিপ্রামোথা প্রধান।

আরও পড়ুন- ‘আমরা সব জায়গাতেই প্রার্থী দেব, যেখানে দেব না, সেখানে না দেওয়ার জন্যই দেব না’ ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য সুকান্তর

তিনি ফের উল্লেখ করেছেন, ‘‘২০১৮ সালে বিজেপি বিধানসভা ভোটের প্রচারে স্লোগান তুলেছিল, 'চলো পাল্টাই', আসলে সেই স্লোগান এখন হয়ে গেছে, 'চলো ঠকাই', বিজেপি গত পাঁচ বছর ধরে ত্রিপুরার মানুষের কাছে ভুল বার্তা দিয়ে আসছে। তাই এই বিধানসভা ভোটে মানুষকে দায়িত্ব নিতে হবে।’’ তিপ্রামোথা প্রধানের জোটের মঞ্চে চলে যাওয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নয় বিজেপি। তাদের বক্তব্য, কোনদিন তিপ্রাল্যান্ড গঠন সম্ভব নয় ৷ রাজ্যে বিভাজন তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই তিপ্রামোথার স্লোগান বা বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় ত্রিপুরার শাসক দল।

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Tripura Assembly Election 2023, Tripura assembly elections 2023, Tripura Politics