হোম /খবর /দেশ /
ভোটের বাজারে 'ওঁদের' গুরুত্ব অপরিসীম, তৃণমূল-বিজেপির লক্ষ্যও তাই সেই মন পাওয়া!

Traipura Assembly Election: ভোটের বাজারে 'ওঁদের' গুরুত্ব অপরিসীম, তৃণমূল-বিজেপির লক্ষ্যও তাই সেই মন পাওয়া!

ত্রিপুরায় নজরে ওরাও!

ত্রিপুরায় নজরে ওরাও!

Traipura Assembly Election: ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে রাবার শ্রমিকদের মন পেতে কৌশলী প্রচার শাসক-বিরোধী উভয়েরই।

  • Share this:

আগরতলা: রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে বিরোধীদের ভুরি ভুরি অভিযোগ। নেই বড় বড় শিল্প-কারখানা। শিল্প তৈরির পরিকাঠামো নেই৷ রাজ্যের অন্যতম শিল্প হচ্ছে রাবার প্রসেসিং৷ আগামীদিনে দেশের গাড়ি শিল্পে, ত্রিপুরার রাবার নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও শিল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা বলছেন তাদের আর্থিক সমস্যার কথা।

আগরতলা শহর থেকে উদয়পুর, বিশ্রামগঞ্জ বা চড়িলাম যেদিকেই গাড়ি ছোটানো হোক, রাস্তার দু'দিকেই নজর পড়বে রাবার বাগান। বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে একের পর এক বাগান। মাটি থেকে কয়েক ফুট উপরে বাঁধা আছে পাত্র৷ গাছের ছাল কাটা। আর সেখান থেকেই ল্যাটেক্স বেরিয়ে এসে জমা হচ্ছে সেই পাত্রে৷ এই পাত্র সংগ্রহ করে পাঠানো হয় রাবার প্রসেসিং ইউনিটে। ত্রিপুরা রাজ্যের প্রায় ৬০০ বাগান জুড়ে এই কাজ হয়৷ আর এই বাগানের সাথে যুক্ত আছে প্রায় এক লক্ষ দশ হাজার শ্রমিক। একটা সময় ছিল শ্রমিকদের এই ভোট পুরোপুরি জমা হত বামেদের বাক্সে৷ সরকার বদলানোর সাথে সাথে বাগানের রাজনৈতিক পরিচয়ও বদলে গিয়েছে। তবে বাগানের শ্রমিকদের অভিযোগ বাড়েনি ভাতা। মূল্যবৃদ্ধির এই বাজারে দৈনিক ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। আর এটাকেই ফের হাতিয়ার করে বাগানে বাগানে বিরোধীদের চলছে প্রচার।বাগানের শ্রমিকদের এই সমস্যার কথা জানেন বিজেপি নেতৃত্বও৷ তাই উদয়পুরে সভা করতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুনিয়েছেন ত্রিপুরার রাবার নিয়ে আশার কথা।

আরও পড়ুন: বইমেলায় পাঁচ দিনেই লক্ষ পূরণ করল এসএফআই, স্টলে দুরন্ত চমক দিল বাম ছাত্ররা

নরেন্দ্র মোদি উদয়পুরের সভা থেকে বলেছেন, ত্রিপুরার রাবারের সুনাম সর্বত্র আছে৷ দেশে গাড়ি শিল্পের চাহিদা বাড়ছে। আর গাড়ির চাহিদা বাড়লেই বাড়বে গাড়ির টায়ার তৈরির চাহিদা। সেই রাবার সরবরাহ হবে আগামীদিনে এই ত্রিপুরা থেকেই৷ শ্রমিকদের সুবিধা আমাদের সরকার দেবে।তবে, শ্রমিকদের ভাতা বা দৈনিক মজুরি নিয়ে যে অসন্তোষ আছে তা একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন রাবার বোর্ডের সদস্যরাও। তারা বল ঠেলছেন সরকারের দিকেই।

আরও পড়ুন: বিরাট খবর, দিঘায় এবার পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ! না দেখলে কিন্তু বড় মিস করবেন

বিপ্লব কর, রাবার বোর্ডের সদস্য জানিয়েছেন, এটা ঠিক আমাদের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়ানোর দাবি আছে৷ আমরাও এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। আশা করা যায় নতুন সরকার তাদের এই অসুবিধা দেখবেন। আমাদের রাজ্যের অন্যতম শিল্প এই রাবারই। তাকে তুলে ধরার কাজ শুরু।অন্যদিকে, ভোটের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দিতে বাগানে যাতায়াত করছে সব রাজনৈতিক দল৷ রাবার শ্রমিকদের একটা বড় অংশ মহিলা শ্রমিক। তারা বলছেন ভোট তো দেবই৷ কারণ ভোট দেওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার৷ তবে তাদের দাবি নিয়ে তারা সোচ্চার জোর গলায়৷ প্রধানমন্ত্রী যেখানে সভা করলেন তার থেকে স্বল্প দূরত্বেই রয়েছে একাধিক রাবার বাগান৷

খাতুন বিবি, রাবার শ্রমিক বলছেন, ''আমরা কী পাচ্ছি? আমাদের কিছুই দেওয়া হয় না। ৩০০ টাকায় কি আর আমাদের সংসার চলে। একটা পরিবারে তিন-চার জন আছে। এই টাকায় হয় কিনা। সব রাজনৈতিক দল এসেছে। বলেছি ভোট দেব। কাকে দেব তা বলেনি। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোট দেওয়া।'' অপরদিকে, সবিতা খাতুন, রাবার শ্রমিক বলছেন, আমরা একটু বেশি কাজ করি। সারাদিন আমাদের কাজ করতে হয়। ভোট অবশ্যই আমরা দেব।রাবার শ্রমিকদের ভোট যে একটা ফ্যাক্টর তা ভালোই বোঝে শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষই৷ তাই ভোটের আগে মন জোগানোর পালা চলছে দু'দিক থেকেই।

Published by:Suman Biswas
First published:

Tags: TMC, Tripura Assembly Election 2023, Tripura BJP