#আগরতলা: অসমে বন্যায় বিজেপি নেতারা কোথায়? প্রচারে বেরিয়ে তোপ তৃণমূল কংগ্রেসের। বিজেপি সরকারকে কড়া আক্রমণ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের। ত্রিপুরা ও অসমের একাধিক জেলায় বন্যার প্রাদুর্ভাবে সাধারণ মানুষের জীবন দূর্বিষহ হয়েছে। দলের কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ জানানোর পর ৩৬ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে ক্ষোভ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ত্রিপুরার দায়িত্বে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, "জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং ধলাই জেলার এসপিকে জানিয়েও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বিজেপির হিংসা থামানো যায়নি। এমন কী গতকাল রাতেও অভয়নগর বাজারে আমাদের পতাকা,ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হয়েছে। আমরা শনিবার ফের কমিশন কর্তাদের সঙ্গে দেখা করার কথা পরিকল্পনা করেছি।"
প্রাক্তন সাংসদ রিপুন বোরা তথা অসম তৃণমূলের সভাপতি বলেছেন, "কমপক্ষে ২৫ টি জেলা বন্যার তোড়ে ভেসে গিয়েছে। প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ অসমে ঘরছাড়া। গত এক বছর ধরে বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিজেপি কোনও পদক্ষেপ করেনি। অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতি চতুর্দিকে। কিন্তু, বিজেপি নেতারা অসম ছেড়ে ত্রিপুরাতে এসে উপনির্বাচনের জন্য প্রচার করছেন।" অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মাও ত্রিপুরাতে প্রচারে করছেন। দুর্গতদের পাশে না থেকে কেন ত্রিপুরায় প্রচার, প্রশ্ন তোলেন বোরা। পাশাপাশি তাঁর আরও মন্তব্য, "মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর আমলাদের উচিত দুর্গতদের জন্য কাজ করা। কিন্তু, দুর্গতদের পাশে তাঁদের কাউকে দেখা যায়নি। তাঁরা সকলেই নিজ নিজ প্রচারে ব্যস্ত।"
আরও পড়ুন- রাজ্যে অগ্নিপথের আঁচ! কলকাতা আসানসোল থেকে কোন কোন ট্রেন বাতিল হল দেখে নিন তালিকা
রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের অভিযোগ, মিথ্যা কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। তাঁর মন্তব্য, "কোভিডের সময় হেমন্ত বিশ্ব শর্মা ও তাঁর স্ত্রী পিপিই কিটের ব্যবসা করেছিলেন। তিনি তখনও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াননি। এখনও তিনি পাশে নেই। যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে এলেন তখন তাঁর বাড়িতে সিবিআই পাঠানো হল। আমি প্রশ্ন করতে চাই, কেবল বিরোধী নেতাদের জন্যই কি ইডি সিবিআই?"
আরও পড়ুন- যাদের চাকরিতে রাখা হবে না সেই অগ্নিবীরদের দক্ষতার শংসাপত্র দেওয়া হবে: কেন্দ্র
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশ্নের মুখে হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর নির্বাচনের আগের জনমুখী প্রচারে যে মিথ্যা প্রতিশ্রুতিগুলি তিনি দিয়েছিলেন তা আদৌ পূরণ হয়নি! ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিকের মন্তব্য, "হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সরকার ১০,৩২৩ জন নিয়োজিত শিক্ষকদের সমস্যাটি সমাধান করবেন। বিপ্লব দেবের অপসারিত করার পরেও মানিক সাহাকে বসানো হলেও আদৌ কোনও পরিবর্তন হয়েছে কি? উল্টে বিপ্লব দেবকে তারকা প্রচারক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।"
Abir Ghosal
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: TMC Tripura