দিল্লির হোর্ডিংয়ে 'বোল্ড' মেয়েটির প্রেমে পড়ে যান সঞ্জয় গান্ধি, সেই শুরু...

Last Updated:

ফ্রি-প্রেস জার্নাল-এ একটি রিপোর্টে লেখা হয়, ওই বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং দেখেই মানেকার প্রেমে পড়ে যান সঞ্জয় গান্ধি৷ ১৯৭৩ সালেই মানেকার সঙ্গে দেখা করেন সঞ্জয়৷ তখন মানেকার বয়স ১৭৷ একটা দারুণ সন্ধে তাঁরা কাটিয়েছিলেন৷ বেশ রোম্যান্টিক৷

সঞ্জয় শ্রীবাস্তব
প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির ছোট ছেলের বাগদান পর্ব মিটল৷ সংক্ষিপ্ত এই খবরটি ১৯৭৪ সালের ২৯ জুলাই ঘোষিত হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে৷ ইন্দিরা গান্ধির ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধির এনগেজমেন্ট হয়েছিল মানেকা আনন্দের সঙ্গে৷ ১ নম্বর সফদরজং রোডে হয়েছিল বাগদান পর্ব৷ সঞ্জয় গান্ধির তখন বেজায় জনপ্রিয়তা৷ ফলে ইন্দিরার ছোট ছেলে কাকে বিয়ে করল, তা তখন রীতিমতো জাতীয় কৌতুহল৷ মানেকা আনন্দটা আবার কে!
advertisement
প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, মানেকা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মান ভাষার ছাত্রী৷ একই সঙ্গে ম্যাগাজিন দিল্লি ডেডলাইনের সাংবাদিক৷ তার আগেও একবার খবরে এসেছিলেন মানেকা৷ ১৯৭৩ সালে দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজে মিস লেডি নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ প্রচুর মডেলিংয়ের অফার ছিল মানেকার কাছে৷
advertisement
ছবিটি সংগৃহীত ছবিটি সংগৃহীত
advertisement
'দ্য সঞ্জয় স্টোরি' বইতে বিনোদ মেহতা লিখেছেন, দিল্লি ক্লথ মিলসের একটি বোল্ড বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ে ছেয়ে যায় দিল্লি৷ ২৪ জুলাইয়ের এক সকালে ডিসিএম-এর অফিসে একটি ফোন আসে৷ ফোনটি করেন মানেকার মা৷ নির্দেশ দেওয়া হয়, দ্র‌ুত হোর্ডিং সরাতে হবে৷ রাতারাতি ওই হোর্ডিংগুলি খুলে ফেলা হয়৷ বিজ্ঞাপন এজেন্সির কাছে খবর ছিল, আখেরে ওই নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই এসেছে৷ বলাই বাহুল্য, ওই বিজ্ঞাপনের বোল্ড মডেলটি ছিলেন মানেকা আনন্দ৷
advertisement
ছবিটি সংগৃহীত ছবিটি সংগৃহীত
ফ্রি-প্রেস জার্নাল-এ একটি রিপোর্টে লেখা হয়, ওই বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং দেখেই মানেকার প্রেমে পড়ে যান সঞ্জয় গান্ধি৷ ১৯৭৩ সালেই মানেকার সঙ্গে দেখা করেন সঞ্জয়৷ তখন মানেকার বয়স ১৭৷ একটা দারুণ সন্ধে তাঁরা কাটিয়েছিলেন৷ বেশ রোম্যান্টিক৷ পরের দিন আবার দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন দু জনেই৷ দেখাও করেন৷ কাছাকাছি আসেন আরও৷ ওই সময়েই সঞ্জয়ের হার্নিয়া অপারেশন হয়৷ মানেকা প্রতিদিন সঞ্জয়কে দেখতে হাসপাতালে যেতেন৷ বিনোদ মেহতার বই অনুযায়ী, 'ওই সময় পা থেকে মাথা পর্যন্ত প্রেমে ডুবেছিলেন সঞ্জয়৷'
advertisement
চার হাত এক
'দ্য সঞ্জয় স্টোরি'-তে বিনোদ মেহতা লিখছেন, 'কর্নেল আনন্দের কাছে মানেকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সঞ্জয়৷ মেয়ের হাত সঞ্জয়ের হাতে তুলে দিতে রাজি হন কর্নেল আনন্দ৷ কিন্তু সঞ্জয়কে তিনি বলেন, আগে ইন্দিরা গান্ধির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে৷' এরপর যখন ছোটছেলের ইচ্ছের কথা শোনেন, খুশি হন ইন্দিরা৷ কিন্ত‌ু গান্ধি পরিবারের বউ হওয়ার যোগ্য কিনা, তা নিয়েও ভাবেন৷ একদিন মানেকাকে ডেকে পাঠান ইন্দিরা৷ অনেক ক্ষণ কথা বলেন৷ মানেকাকে ইন্দিরা বলেছিলেন, সঞ্জয়ের সঙ্গে থাকা কিন্তু সহজ নয়৷
advertisement
ছবিটি সংগৃহীত ছবিটি সংগৃহীত
ইন্দিরার আরও চিন্তা ছিল, সঞ্জয় মানেকার চেয়ে ১০ বছরের বড়৷ মানেকা ইন্দিরাকে বলেন, তাঁর কোনও অসুবিধে নেই৷ শেষ পর্যন্ত প্রেমের জয় হয়৷ বিয়ের দিন ঠিক হল৷ ১৯৭৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর৷ গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ মহম্মদ ইউনুসের বাড়িতে হল বিয়ে৷ খুব কাছের কয়েকজনকে আমন্ত্রণ করা হল৷ মিডিয়াকে এড়িয়ে৷ ইলাস্ট্রেটেড উইকলি-তে লেখা হল, মানেকা শিখ, সঞ্জয়ের মা হিন্দু৷ বাবা পার্সি৷ বিয়ে হচ্ছে মুসলিম বাড়িতে৷ পারফেক্ট সেকুলার আইডিয়া৷ বিয়ের পরের দিন মানেকা চললেন জার্মান ক্লাস৷ সঞ্জয় নিজের গাড়ি ফ্যাক্টরিতে৷
advertisement
কেউ কেউ ভেবেছিলেন, এ বিয়ে এক বছরের বেশি টিকবে না৷ কিন্ত‌ু দারুণ ভাবেই টিকে যায়৷ ১৯৮০ সালে বিমান দুর্ঘটনায় সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়৷ তখন সঞ্জয়-মানেকার একমাত্র সন্তান বরুণ গান্ধির বয়স মাত্র ৩ বছর৷ এই ঘটনার কিছু মাস পরেই মানেকা-ইন্দিরার মতভেদ শুরু হয়৷ খুশবন্ত সিং-এর 'অ্যাবসলিউট খুশবন্ত'-এ লিখেছেন, 'ইন্দিরা মানেকার সঙ্গে গ্রামের একজন জাঁদরেল শাশুড়ির মতোই ব্যবহার করা শুরু করেন৷' এক বছর পর তাঁদের সম্পর্ক এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মানেকা৷ আপাতত তো তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
দিল্লির হোর্ডিংয়ে 'বোল্ড' মেয়েটির প্রেমে পড়ে যান সঞ্জয় গান্ধি, সেই শুরু...
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement