#নয়াদিল্লি: প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ী ৷ শুক্রবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় স্মৃতি স্থলে সম্পন্ন হল প্রাক্তন অটল বিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য ৷ বাজপেয়ীকে মুখাগ্নি করলেন কন্যা নমিতা ভট্টাচার্য ৷ শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ ভারতীয় রাজনীতির বিভিন্ন নেতারা ৷
অটল বিহারী বাজপেয়ীর অবিবাহিত জীবনে বাৎসল্য রসের আগমন ঘটেছিল দত্তক কন্যা নমিতার হাত ধরে ৷ নমিতার পুরো নাম নমিতা ভট্টাচার্য ৷ কলেজের বান্ধবী রাজকুমারী কউলের কন্যা নমিতাকে আঁকড়ে ধরেই অবিবাহিত হয়েও পিতৃত্বের স্বাদ পেয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী ৷ রাজকুমারীর স্বামী ব্রিজ নারায়ণের মৃত্যুর পর নমিতাকে দত্তক নেন অটলজী ৷
আর পাঁচটা মেয়ে-বাবার সম্পর্কের থেকে আলাদা ছিল না নমিতা- অটলের সম্পর্ক ৷ একে অপরের চোখের মণি ছিলেন তাঁরা ৷ তাই নিজের সম্পর্কের কথাও বাবার থেকে লুকোননি নমিতা ৷ দিল্লির শ্রীরাম কলেজ অফ কমার্সে পড়ার সময় নমিতার সঙ্গে পরিচয় অর্থনীতির স্নাতক রঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে ৷ বন্ধুত্বে ভালবাসার রঙ ধরতে বিশেষ সময় লাগেনি ৷ পিতা অটলের অনুমতিতেই বাঙালি বাবুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন নমিতা ৷
প্রসারিত হয় অটল বিহারী বাজপেয়ীর পরিবার ৷ নমিতার সঙ্গে অটলজির পরিবারে স্থান পায় জামাই রঞ্জন ভট্টাচার্যও ৷ বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রিত্বের একটা বড় সময় তাঁর সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন তাঁর বাঙালি জামাই রঞ্জন ৷ ১৯৬৬ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ির প্রচারের দায়িত্ব ছিল রঞ্জনের হাতেই ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি ৷
কিছু বছরের মধ্যেই অটলজির হৃদয়ে স্থান করে নেয় আরও এক কন্যা রত্ন নাতনি নীহারিকা ৷ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ৬/এ কৃষ্ণ মেনন মার্গে অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গী ছিলেন এই তিন জন ৷ পার্থিব শরীর পঞ্চভূতে মিলিয়ে যাওয়ার পরই অবিনশ্বর এই পিতা-পুত্রী সম্পর্ক ৷ একমাত্র উত্তরাধিকার হিসেবে নিয়ম মতো পিতার মুখাগ্নি করেন নমিতা ভট্টাচার্যই ৷ উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে মারা যান নমিতার জন্মদাত্রী মা রাজকুমারী কউল ৷ ৪ বছর বাদে ফের অভিভাবকহীন হল নমিতা ভট্টাচার্য ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।