Drowning of teenagers: সরকারি জমিই বর্ষায় সাক্ষাৎ যম! ক্রিকেট খেলতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই পড়ুয়ার
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
বৃষ্টি হলেই জলে ভরে যায় ফেলে রাখা সরকারি জমি। সেখানেই গভীর জলে ডুবে মৃত্যু দুই কিশোরের। গাফিলতির অভিযোগ আনছেন পরিবারের সদস্যরা। কী বলছে পুলিশ?
নয়াদিল্লি: সরকারি জমি খালি পড়ে আছে বহুদিন। সেখানেই বৃষ্টির জল জমে টইটুম্বুর হয়ে ছিল। দিল্লির রোহিনির প্রেমনগর এলাকায় সেই খালি প্লটেই ডুবে মৃত্যু হল দুই কিশোরের। ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এফআইআর নথিভুক্ত করেছে দিল্লি পুলিশ।
সূত্রের খবর, টানা বৃষ্টির পর প্রেমনগরের রানি খেরা গ্রামের সেই খালি প্লটে জমে থাকা বৃষ্টির জলে ডুবে যায় দুই কিশোর মায়াঙ্ক এবং দিব্যংশ, দুজনেরই বয়স ১৭ বছর। একই স্কুলে পড়ত তারা। ছেলেরা স্নান করতে গিয়েছিল বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, যে তারা ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিল, এমনই জানিয়েছে পুলিশ।
advertisement
এক ঊর্ধ্বতন পুলিশকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে দুই কিশোরই স্নান করতে গিয়েছিল। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
advertisement
নিহতের পরিবারের সদস্যরা এবং অন্যান্য বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে প্লটটি গত কয়েক বছর ধরে খালি ছিল এবং বৃষ্টির সময় প্রায়শই এর বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির জল ভরে যায়।
advertisement
এটি বহু দিনের সমস্যা বলেই তাঁদের অভিযোগ। যা প্রতি বছর বর্ষাকালে দেখা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করা হলেও কিছু পদক্ষেপ করা হয়নি। শিশুরা খেলতে গিয়ে ওই গভীর জলে চলে যায় প্রায় সময়েই, তাই বর্ষায় আতঙ্ক দেখা দেয় গ্রামে। গত বছরও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান এক বাসিন্দা।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, এটি দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (ডিডিএ) জমি যা বেশ কয়েক বছর আগে দিল্লি স্টেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে (ডিএসআইআইডিসি) দেওয়া হয়েছিল। শনিবার জারি করা এক বিবৃতিতে ডিডিএ বলেছে, “ঘটনাটি দুঃখজনক এবং বেদনাদায়ক এবং আমরা আমাদের গভীর সমবেদনা জানাই। যে খালি জমিতে এই ঘটনা ঘটেছে তা ডিএসআইআইডিসির দখলে, যেটি ২০০৭ সালে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।”
advertisement
মায়াঙ্ক এবং দিব্যাংশ একটি সরকারি স্কুলে একাদশ শ্রেণীতে পড়ত। মায়াঙ্কের বাবা রঞ্জিত কুমার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন। তিনি শোকে আচ্ছন্ন হয়ে বলেন, “আমার ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিল। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ওর প্রাণ গিয়েছে।”
দিব্যাংশের বাবা প্রমোদ তোমর একটি কারখানায় কাজ করেন। তিনিও একই ভাবে অভিযোগ তুলেছেন অবহেলার। জমি সমস্যা সমাধান হয়নি বলেই ছেলেদের মৃত্যু, এমনই দাবি দুই কিশোরের পরিবারে। এর বিচার চেয়েছেন তাঁরা।
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,Kolkata,West Bengal
First Published :
August 11, 2024 8:21 AM IST