নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিন, ফিরে দেখা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান

Last Updated:

আজ তাঁর জন্মদিনের পুণ্যলগ্নে এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক তাঁর অবদান

#কলকাতা: আজ ২৩ শে জানুয়ারি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhash Chandra Bose) ১২৫তম জন্মদিন। দেশ জুড়ে নানা বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হচ্ছে তাঁর জন্মদিন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিস্তৃত ইতিহাসের সিংহভাগ জুড়ে রয়েছেন সুভাষচন্দ্র বসু। যাঁকে ভালোবেসে দেশের লোক বলেন নেতাজি। ব্রিটিশদের অত্যাচারে জর্জরিত ভারতীয়দের জাগিয়ে তোলা এবং তাঁদের নিয়ে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন সুভাষ। আর তাই ভারতের ইতিহাস তাঁর অবদানের অংশটুকু ছাড়া অসম্পূর্ণ।
বুকে আগুন নিয়ে জন্মানো নেতাজি বুঝতে পেরেছিলেন মিষ্টি কথায় চিঁড়ে ভেজানোর দিন শেষ। তিনি বিশ্বাস করতেন সশস্ত্র বিপ্লবে। একজন নেতা সে-ই হয়, যিনি সবাইকে নিয়ে পথ চলতে সক্ষম হন। বলাই বাহুল্য, নেতাজির মধ্যে একজন সত্যিকারের নেতা হওয়ার সব রকম গুণ ছিল। তাই তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছিল আসমুদ্র হিমাচল। তিনি যেমন সবাইকে একত্রিত করে গড়ে তুলেছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজ (Azad Hind Fauj), তেমনিই তাঁর অসামান্য বাগ্মিতায় মুগ্ধ ছিলেন দেশবাসী। ভারতীয়রা বিশ্বাস করেন সুভাষ বসু আজও বেঁচে আছেন। আর এই বিশ্বাসের পিছনে লুকিয়ে আছে নেতাজির প্রতি তাঁদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।
advertisement
আজ তাঁর জন্মদিনের পুণ্যলগ্নে এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক তাঁর অবদান।
advertisement
একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে:
একজন দক্ষ কূটনীতিক হিসেবে অনবদ্য ছিলেন নেতাজি। শত্রুর শত্রু যে বন্ধু হয় এই প্রবাদে বিশ্বাস করে নানা দেশের কাছে ব্রিটিশদের তাড়াতে সহায়তা চেয়েছিলেন তিনি। দু'বার জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর কাজের পদ্ধতি ও আগ্রাসী মনোভাবের জন্য বিরোধ সৃষ্টি হয় মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) সঙ্গে। পরে সুভাষ কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে ফরওয়ার্ড ব্লক (Forward Block) তৈরি করেন।
advertisement
একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে:
নেতাজি বুঝতে পেরেছিলেন ব্রিটিশদের অস্ত্রের বিরুদ্ধে তাঁদেরও অস্ত্র তুলে নিতে হবে। জাপান ও জার্মান সরকারের কাছ থেকে তিনি নানা বিষয়ে সহায়তা চেয়েছিলেন। ১৯৪৩ সালে তাঁর প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (Indian National Army) বা আইএনএ।
পূর্ণ স্বরাজের প্রবক্তা:
গান্ধী ও তাঁর অনুগামীদের মতো হোম রুল চাওয়ার পরিপন্থী ছিলেন নেতাজি। যা তাঁর নিজের, তার জন্য কেন তিনি ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করবেন, এ তাঁর বোধগম্য ছিল না। তিনি চেয়েছিলেন পূর্ণ স্বরাজ।
advertisement
নেতাজি ছিলেন জননেতা:
দেশ-বিদেশ জুড়ে নানা বরেণ্য নেতা ও নেত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন একজন যথার্থ জননেতা। শুধু রাজনৈতিক কারণেই নয়, যে কোনও জনকল্যাণমূলক কাজে নেতাজি একবার ডাক দিলেই লক্ষ প্রাণ হাজির হয়ে যেত। তিনি ছিলেন মানুষের নেতা।
নারীদের চেতনা উন্মেষ করার প্রবক্তা:
নেতাজি কখনওই চাননি যে পুরুষরা যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে প্রাণ দেবেন আর মেয়েরা বাড়িতে বসে চোখের জল ফেলবেন। ভারতের অসংখ্য সাহসিনীরাও যে দেশের সম্পদ, সেটা বুঝেই তাঁদেরকে দেশের কাজে এগিয়ে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন সুভাষ। তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজের মহিলা বাহিনীর নাম ছিল ঝাঁসির রানি।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিন, ফিরে দেখা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement