জঘন্য অভিযুক্তদের সাজা, এনকাউন্টার ও কিছু প্রশ্ন

Last Updated:
Saptarshi Som
#কলকাতা: নির্ভয়ার মা সমর্থন জানাবেন। সমর্থন জানাবে এমন অনেক পরিবার যাঁদের পরিবারে কেউ না কেউ নির্যাতনের শিকার। আইন- আদালতের দীর্ঘ পথ পার করতে গিয়ে ক্লান্তি আসবেই। অসহায়তা জন্ম দেবে ক্ষোভ আর রাগের। তাই এই পথেই সমর্থন আসবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ সমর্থন জানাবেন। কিন্তু এটাই কী পথ ? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া কী জরুরি ?
advertisement
আদতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জনমত এই প্রশ্ন তুলতে বাধা। তবুও জানা বা বোঝার জন্য কিছু তথ্য-রিকনস্ট্রাকশন অফ ক্রাইম বা অপরাধের পূনর্নির্মাণ এমন এক পদ্ধতি, যা তদন্তকারী সংস্থা নিজেদের জন্য করে।আইনগত দিক থেকে তথ্য বা প্রমান হিসাবে এর কোন আলাদা গুরুত্ব নেই।
advertisement
তা সত্ত্বেও এই পূ্নর্নির্মাণ করা হয় ঘটনার পূঙ্খনাপুঙ্খ তথ্য জানার জন্য। অপরাধের একেবারে খুঁটিনাটি উল্লেখ করে এমন কেস ডায়েরি আদালতে পেশ করা হয়, যাতে অপরাধ প্রমান সহজ হয়। ইদানিং আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বিচারককে ঘটনাস্থলের থ্রি সিক্সটি ডিগ্ৰি ভিডিও দেখানো হয়। যাতে আদালতে বসেই বিচারক ঘটনাস্থল ও অপরাধ এবং অপরাধীদের ভূমিকা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে পারেন।
advertisement
এক্ষেত্রে যে সময়ে অপরাধ ঘটেছিল সেই সময়েই পূ্নর্নির্মাণ করা হয়। তাই ভোর রাতে পূ্নর্নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে না। অপরাধীদের নিরাপত্তা, অর্থাৎ, জনরোষে যদি বিপত্তি বাধে তার জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয়।এই পূ্নর্নির্মাণের নির্দিষ্ট কোনও আইন বা বিধি নেই।
হাতকড়া বাঁধা, কোমরে দড়ি বাঁধা- এগুলো নির্ভর করে তদন্তকারীর সিদ্ধান্তের ওপর।
advertisement
পালানোর সময় অপরাধীকে গুলি করার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট বিধি নেই। অর্থাৎ, একজন পুলিশকর্মী অলিম্পিকের শ্যুটিং-এর প্রতিযোগী নন, যিনি পালাতে যাওয়া অপরাধীকে নির্দিষ্টভাবে পায়ে গুলি করবেন।অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই পূ্নর্নির্মাণের ভিডিওগ্ৰাফি করা হয়। দুটি কপি তৈরি করা হয়। একটি আদালতে সিল করা খামে জমা করা হয়। আরেকটি কপি তদন্তকারীরা রাখেন। এক্ষেত্রেও নিশ্চয় করা হয়েছিল। সেই ছবিতেও প্রমান হবে সত্যিই অভিযুক্তরা পালাচ্ছিল কিনা। তবে ভিডিও করার ব্যবস্থা ঠিক সেই সময়ে বিকল হলে কিছু করার নেই। আদালতে এমন মামলার তদন্তে এমন বহু নজির আছে। বহু মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের ভিডিও বা সিসি টিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
advertisement
পুলিশের গুলিতে যে কোনো মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের হয়। ৩০২ ধারায় এই মামলার তদন্ত করে অন্য একটি সংস্থা। এখানে সাইবারাবাদ কমিশনের পুলিশ যেহেতু অভিযুক্ত, তাই তদন্ত করবে সিআইডি বা অন্য কোন সংস্থা।
আসল সত্যি কি প্রকাশ্যে আসবে? আদালতে কী সাইবারাবাদ পুলিশ প্রমান করতে পারবে যে চারজন নিরস্ত্র অভিযুক্ত পালিয়ে যাচ্ছিল? আদতে এই অভিযুক্তদের হয়ে কেউই লড়াই করবেন না। হাতে গোনা কয়েকজন এই ঘটনা স্বাভাবিক নয় বলে প্রশ্ন তুলবেন। জনমানসিকতার রোষের শিকার হওয়ার ভয় থাকবে। কিছুদিন বাদে আমরা সবাই অন্য কোন খবর নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ব। কেউ খোঁজ রাখবেন না, ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত চার জঘন্য অপরাধীর মৃত্যুর আসল কারণ। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা এই সহজ পথ ও সহজ মতের পক্ষে অধিকাংশ কে জড়ো করবে। বাহবা পাবে পুলিশ। কিন্তু একটুও কি লজ্জা পাবে না আইন ও বিচারব্যবস্থা?
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
জঘন্য অভিযুক্তদের সাজা, এনকাউন্টার ও কিছু প্রশ্ন
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement