৩৪ বছর আগের সেই ভয়ঙ্কর দিন... একটা ছোট ডেনিমের টুকরোই খুলে দিয়েছিল রাজীব-হত্যার যাবতীয় জট! তদন্তের পুরো দিক বদলে গিয়েছিলল... কী হয়েছিল সেদিন?

Last Updated:

হত্যার পর দুই দিন পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি কেন, কীভাবে এবং কে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। দুই দিন পরে জানা গেল যে হত্যার পিছনে রয়েছেন একজন মহিলা, যিনি সুইসাইড বোম্বার। বোমা বিস্ফোরণের কয়েক ঘন্টার মধ্যে, তামিলনাড়ু ফরেনসিক বিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক পি. চন্দ্রশেখর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন। তিনি দুই দিন ধরে নীরবে তার তদন্ত চালিয়ে যান।

News18
News18
নয়াদিল্লি: সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ৮১৩ম জন্মবার্ষিকী উদযাপন চলছে। তিনি বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স হত ৮১ বছর। ৩৪ বছর কেটে গেল তাঁর মৃত্যুর। ১৯৯১ সালের ২১ মে ছিল ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত দিন। তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরে এক জনসভায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হন রাজীব। সুইসাইড বোম্বারের মাধ্যমে তাঁর জীবন শেষ করে দেওয়া হয়।
সন্ধ্যায় যখন সংবাদপত্রের অফিসে প্রাথমিক খবর আসে, তখন কেবল এটুকু জানা যায় যে তাঁর সভাস্থলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিছুক্ষণ পরে যখন খবরগুলি আপডেট হতে শুরু করে, তখন সারা দেশ হতবাক! কেউই ভাবতে পারেনি যে তাঁর সঙ্গে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে। হত্যার পর দুই দিন পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি কেন, কীভাবে এবং কে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। দুই দিন পরে জানা গেল যে হত্যার পিছনে রয়েছেন একজন মহিলা, যিনি সুইসাইড বোম্বার। বোমা বিস্ফোরণের কয়েক ঘন্টার মধ্যে, তামিলনাড়ু ফরেনসিক বিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক পি. চন্দ্রশেখর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন। তিনি দুই দিন ধরে তদন্ত চালিয়ে যান।
advertisement
advertisement

হত্যাকাণ্ডের চারটি তত্ত্ব যা প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছিল

১. বোমাটি লাল গালিচার নীচে রাখা হয়েছিল
২. বোমাটি ফুল ভর্তি ঝুড়িতে ছিল
৩. বোমাটি বাতাসে ছুড়ে মারা হয়েছিল
৪. বোমাটি রাজীব গান্ধীর গলায় পরা মালায় ছিল।
 চন্দ্রশেখর তাৎক্ষণিকভাবে দুটি তত্ত্ব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
advertisement
১. খুনটি ঝুড়িতে থাকা বোমা দ্বারা করা হয়নি
২. খুনটি লাল গালিচার নীচে রাখা বোমা দ্বারাও করা হয়নি
কারণ যদি তা হত তবে ঝুড়িটি অনেক জায়গায় ভেঙে যেত। এর কিছুই অবশিষ্ট থাকত না। লাল গালিচাটিও সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তিনি এরপর তৃতীয় তত্ত্বটিও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন যে, বাতাসে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। চতুর্থ তত্ত্বটিও প্রত্যাখ্যান করা হয়।
advertisement
চন্দ্রশেখর বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১৬টি মৃতদেহ পরীক্ষা করেন। এই মৃতদেহগুলির মধ্যে একটি ছিল রাজীব গান্ধীর। দেখা যায়, বোমাটি সবচেয়ে বেশি আঘাত করে এক মহিলার উপর এবং রাজীব গান্ধীর উপর। স্পষ্ট হয়, হত্যাটি একটি সুইসাইড বোম্বার দ্বারা করা হয়েছিল এবং তিনি ছিলেন একজন মহিলা। হত্যার ঠিক আগে তোলা ছবিগুলি থেকে আরও জানা যায় যে, সেই সুইসাইড বোম্বার আর কেউ নন, রাজীব গান্ধীর পা স্পর্শ করার জন্য ঝুঁকে থাকা মহিলা। তদন্তের সময় একটি ডেনিম জ্যাকেটের টুকরো পাওয়া যায় যার সঙ্গে ভেলক্রো লাগানো ছিল। এর অর্থ হল বোমাটি অবশ্যই একটি বেল্ট ব্যবহার করে এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়। মহিলার পোশাক পরীক্ষা করে দেখা যায় যে তাঁর সালোয়ার সম্পূর্ণ অক্ষত। তবে শার্ট, দোপাট্টা এবং অন্তর্বাস ছিঁড়ে গেছে। অন্তর্বাসটি ডেনিম ভেস্টে আটকে ছিল। এর অর্থ হল বোমাযুক্ত ডেনিম ভেস্টটি অন্তর্বাস এবং শার্টের মাঝখানে পরা ছিল। কেউ যদি আপনার পা ছুঁতে আসে, আপনি কী করবেন? তাকে উপরে তুলবেন এবং এর জন্য একটু বাঁকবেন। রাজীব গান্ধীও তাই করেছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি ট্রিগার টিপলেন।  ফলে রাজীব গান্ধীর মুখ সম্পূর্ণরূপে উড়ে গেল। দিনটা ছিল ১৯৯১ সালের ২১ মে। বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স হত ৮১ বছর।
advertisement
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
৩৪ বছর আগের সেই ভয়ঙ্কর দিন... একটা ছোট ডেনিমের টুকরোই খুলে দিয়েছিল রাজীব-হত্যার যাবতীয় জট! তদন্তের পুরো দিক বদলে গিয়েছিলল... কী হয়েছিল সেদিন?
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement