ডিসেম্বরেই পাকাপাকিভাবে রাহুলের হাতে কংগ্রেসের ব্যাটন ?

Last Updated:

প্রত্যাশামতো রাহুল গান্ধির হাতেই পাকাপাকি ভাবে দলের রাশ তুলে দিতে চলেছে কংগ্রেস।

#নয়াদিল্লি: প্রত্যাশামতো রাহুল গান্ধির হাতেই পাকাপাকি ভাবে দলের রাশ তুলে দিতে চলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সভাপতি পদে রাহুলকে আনার প্রস্তাব পাস হয়েছে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। তবে এখনই অবশ্য রাহুলের সভাপতি হওয়া চূড়ান্ত নয়। স্থির হয়েছে ভোটাভুটির দিনক্ষণ। সবকিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের শুরুতেই দলের লাগাম উঠতে চলেছে রাহুলের হাতে।
সনিয়া গান্ধির পর কংগ্রেস সভাপতি পদে কে ? এ প্রশ্নের উত্তর একরকম তৈরি করেই রেখেছিল কংগ্রেস। সোমবার, দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সভাপতি পদে নির্বাচন নিয়ে আলোচনাই হয়ে উঠল মুখ্য। ওই পদে ভোটাভুটির দিনক্ষণ স্থির হয়েছে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে।
ভোটাভুটির দিনক্ষণ
advertisement
- ১৬ ডিসেম্বর কংগ্রেস সভাপতি পদে ভোটগ্রহণ
advertisement
- ১৬ ডিসেম্বরই ভেটগণনা
- ১৯ ডিসেম্বর ভোটের ফলপ্রকাশ
- ১১ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন
সরাসরি না বললেও, সনিয়ার পর রাহুল গান্ধিই যে দলের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন তা কার্যত ঠিক হয়ে গিয়েছে। তবু ওই পদে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করে তাতে কার্যত সিলমোহর দেওয়া হল। রাহুল গান্ধির হাতেই দলের লাগাম তুলে দিতে চলেছে কংগ্রেস। মুখে না বললেও, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সভাপতি পদে ভোটাভুটি নিয়েই আলোচনা হয় এদিন ৷
advertisement
প্রস্তাব পাশ হয়েছে। তবে নিরঙ্কুশ ভাবে দলের ক্ষমতা পাওয়া হচ্ছে না রাহুলের। তাঁকে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই পেতে হবে দলীয় সভাপতির পদ।
দলের সভাপতি পদে রাহুল অপ্রতিদ্বন্দ্বী। নিয়ম অনুযায়ী, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনেই আনুষ্ঠানিক ভাবে দলের সভাপতি হিসেবে তাঁর নাম ঘোষিত হওয়ার কথা। সভাপতি পদে হয়তো অনেক আগেই অভিষেক হতো রাহুলের। কিন্তু, তাতে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভোটে কংগ্রেসের লাগাতার ব্যর্থতা।
advertisement
- ২০১৩ সালে কংগ্রেসের সহ সভাপতি হন রাহুল
- তখন কংগ্রেসের দেশের শাসন ক্ষমতায়
- কিন্তু, ২০১৪ সালে মুখ থুবড়ে পড়ে ইউপিএ-র ঘোড়া
- এরপর থেকে একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হতে থাকে কংগ্রেসের
- মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, অসম-সহ একাধিক রাজ্যের বিধানসভা ভোটে হার হয় কংগ্রেসের
advertisement
- এর মধ্যেই অবশ্য ২০১৫ সালে আরজেডি, জেডিইউ-কে নিয়ে বিহারে সাফল্য পায় রাহুলের কংগ্রেস
- তবে শেষপর্যন্ত বিহারের তখন মহাজোটের হাতে রাখা যায়নি
- জেডিইউ-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিহারে ক্ষমতার শরিক বিজেপি
লাগাতার ব্যর্থতার ধাক্কায় রাহুলের নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। তা নিয়ে বিজেপি তো বটেই, খোদ প্রধানমন্ত্রীও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাহুলকে। তাঁকে ঘিরেই আশার আলো দেখছে কংগ্রেস।
advertisement
রাহুলের হাতে লাগাম
- হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাত ভোটে বিজেপিকে কড়া টক্কর দিচ্ছেন রাহুল
- গুজরাতে হার্দিকের মতো সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের কাঠে টেনে নিয়েছেন
- নোটবন্দি, জিএসটি, রাফাল বিমান-সহ একাধিক বিষয়ে বিজেপিকে নিয়মিত আক্রমণ করছেন
- জাতীয় স্তরে মোদি বিরোধিতার অন্যতম মুখ
advertisement
- বিজেপি বিরোধী জোটের অন্যতম কাণ্ডারী
- দলের ভিতরেও রাহুলের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটা বেড়েছে
ব্যর্থতার রেকর্ড ঝেড়ে ফেলে দিয়ে রাহুল অস্ত্রে শান দিতে চাইছে কংগ্রেস।স্থির হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর ওই পদে ভোটগ্রহণ হবে। ১৯ ডিসেম্বর ভোটের ফল বেরোবে। ভোট হলে, ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। ১১ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন।২০১৩ সালে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি হন রাহুল গান্ধি।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
ডিসেম্বরেই পাকাপাকিভাবে রাহুলের হাতে কংগ্রেসের ব্যাটন ?
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement