খোদ কমিশনার সাধারণ মানুষ সেজে হাজির থানায়, অভিযোগ নিল না পুলিস
- Published by:Suman Majumder
- news18 bangla
Last Updated:
পাঠানের পোশাক পরে, মুখে নকল দাড়ি-গোঁফ লাগিয়ে একের পর এক থানায় হাজির হয়েছিলেন।
#মুম্বই: অনেক আগে এমনটা হত। প্রশাসকরা ছদ্মবেশে হাজির হতেন প্রশাসনিক কাজকর্ম খতিয়ে দেখার জন্য। সাধারণ মানুষ সেজে প্রশাসনিক কর্তাদের মাঝে যেতেন সমাজব্যবস্থা ঠিকঠাক চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য! কিন্তু আজকাল সেসব অতীত। এখন ডিউটির বাইরে বাড়তি দায়িত্ব নিতে কে চায়! তবে এখনও কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চান। পুণের পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ প্রকাশ এমনই একজন মানুষ। পুলিশ নিজেরর কাজ ঠিকঠাক করছে কিনা, সেটা জানার জন্য এর থেকে হয়তো ভাল উপায় আর ছিল না। তিনি যেভাবে পুলিশের কাজ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করলেন, তা এখনকার দিনে কেউ ভাবতেই পারে না। কাউকে কিছু না জানিয়ে সাধারন মানুষের বেশে তিনি হাজির হয়েছিলেন একের পর এক থানায়। খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন থানায় পৌঁছলে সাধারণ মানুষ ঠিকঠাক পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা! অর্থাৎ সাধারণ মানুষের স্বার্থেই এমন সাজ।
কৃষ্ণ প্রকাশ একজন পাঠানের পোশাক পরে, মুখে নকল দাড়ি-গোঁফ লাগিয়ে একের পর এক থানায় হাজির হয়েছিলেন। সঙ্গে নিয়েছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ প্রেরণা খাটেকে। তাঁকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পুলিশের কাছে পরিচয় দিয়েছিলেন কমিশনার। তাঁরা দুজনে একের পর এক থানায় হাজির হন। সেখানে নিজেদের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁরা আসলে দেখতে গিয়েছিলেন, সাধারণ মানুষ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার কেমন আচরণ করেন! প্রতিটি থানায় তাঁরা আলাদা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যেমন, হিঞ্জেওয়াদি থানায় তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রীকে কিছু সমাজবিরোধী রাস্তায় উত্ত্যক্ত করছিল। এমনকী তারা রাস্তার মাঝখানে শব্দবাজি ফাটাচ্ছিল। এর পর ওয়াকার পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রীর গলার সোনার চেন ছিনতাই হয়ে গিয়েছে। পরপর দুটি পুলিশ স্টেশনে তাঁদের অভিযোগ শুনে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন পুলিসকর্মীরা। ওই দুই পুলিশ স্টেশনে কর্তব্যরত অফিসারদের তৎপরতা দেখে সন্তুষ্ট হন পুলিশ কমিশনার। তবে গোল বাঁধে অন্য একটি থানায়।
advertisement
পিমরি চিঞ্চোয়ার থানায় গিয়ে কমিশনার অভিযোগ করেন, কোভিড আক্রান্ত রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার তাঁদের কাছ থেকে অনেক টাকা দাবি করছে। কিন্তু ওই থানার কর্তব্যরত অফিসার তাঁর অভিযোগে সাড়া দেননি। বরং সেই অফিসার তার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। ওই থানার পুলিশকর্মীরা তাঁকে বলেন, স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে সবার আগে অভিযোগ জানাতে! এই ব্যাপারে কোনও সহায়তা তাঁরা করতে পারবেন না বলে জানান। এর পরই পুলিশ কমিশনার নিজের আসল পরিচয় দেন। ইতিমধ্যে ওই থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের কাছে জবাবদিহি চেয়েছে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। কেন অভিযোগ নেওয়া হলো না, তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে ওই থানার পুলিশ কমিশনারকে।
advertisement
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
May 09, 2021 5:30 PM IST