ATM-র ভিতরে বসে পড়াশোনা সারছেন নিরাপত্তা রক্ষী, ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়!

Last Updated:

এক যুবক ATM-এর ভিতর বসে নিজের পড়াশোনা করছেন। বোঝা যায়, তিনি ওই ATM-এর রক্ষী।

#নয়াদিল্লি: যে দেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে কোটি কোটি মানুষ, সেখানে খাবার জোটাতেই দিন কেটে যায় বাচ্চা বয়স থেকে। ফলে পড়াশোনা করার সুযোগ পাওয়া যায় না বা হয়ে ওঠে না এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। পড়াশোনা করতে পারা বা বাড়িতে পড়াশোনা করানোর মানসিকতা রয়েছে এমন দেখা যায় না, এমনকি সেই খরচা চালানো অনেক ক্ষেত্রে সম্ভবও হয় না। ফলে বেশিরভাগ মানুষই এই অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকে বা পরিস্থিতি এই অধিকার নিয়ে বাঁচতে সাহায্য করে না। কিন্তু কথায় আছে, কোনও জিনিসকে মন থেকে চাইলে সেই জিনিস যতই অসম্ভব হোক, তা পাওয়া যায়। আর এমনই এক নিদর্শন তৈরি করল সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ছবি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছেন এমন অনেক মানুষই হয়তো ছবিটি দেখেছেন। সম্প্রতি সেটি IAS অফিসার অবনীশ শরণের Twitter প্রোফাইল থেকে ছড়িয়ে পড়ে। যাতে দেখা যায়, এক যুবক ATM-এর ভিতর বসে নিজের পড়াশোনা করছেন। বোঝা যায়, তিনি ওই ATM-এর রক্ষী। কাজের ফাঁকে পড়াশোনা সেরে নিচ্ছেন। এই ছবিটি শেয়ার করে অবনীশ ক্যাপশনে লেখেন, আগুন যেখানেই থাক, তা জ্বলতে হবে। অর্থাৎ কাজ করার ইচ্ছে থাকলে তা করে দেখাতে হবে।
advertisement
https://twitter.com/AwanishSharan/status/1379321095619145728
advertisement
তাঁর এই ছবিটিই পোস্টের সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়। ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। সকলেই এমন কাজের বাহবা দেন। প্রশংসা করেন। অনেকে বলেন, তিনি সত্যিই অনেককে অনুপ্রাণিত করলেন অজান্তেই।
কিন্তু তিনি কে? কোথাকারই বা ছবি এটি, জানা যায়নি। জানা যায়নি তাঁর পরিচয় বা অন্য কিছু। ফলে মানুষের মধ্য়ে কৌতূহল রয়েই গিয়েছে। অনেকেই এই ছবিটি দেখে সেই সব মানুষের কথা তুলে ধরেছেন, যাদের সামান্য পড়াশোনার অধিকারটুকু পেতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়।
advertisement
তবে, এটাই প্রথম নয়, এর আগেও এই ধরনের একাধিক ছবি সামনে এসেছে। ২০১৯ সালে JNU-র এক নিরাপত্তা রক্ষী একটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, যা ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। উঠে আসে তাঁর কষ্টের কথা। জানা যায়, ২০০৪ সালে রামজল মীনা নামে ওই রক্ষীকে বাধ্য হয়ে নিজের পড়াশোনা স্নাতক স্তরেই ছেড়ে দিতে হয়। পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাঁকে দিন মজুর হিসেবে কাজ শুরু করতে হয়। পরে ২০১৪ সালে তিনি JNU-র নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ পান। যার পাঁচ বছর পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাতেই তিনি পাশ করেন এবং ফের পড়াশোনা শুরু করেন।
advertisement
এবিষয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ২০০৪ সালের পড়াশোনা একদম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আবার তা শুরু করি।
রাজস্থানের এই বাসিন্দার পড়াশোনা চলাকালীনই বিয়ে হয়ে যায় ২০০৩ সালে। পরে সংসারের চাপে তাঁকে কাজ শুরু করতে হয়। কিন্তু মনের জেদ ও অদম্য ইচ্ছেশক্তির ফলে তিনি ফের নিজের পড়াশোনা শুরু করেন।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
ATM-র ভিতরে বসে পড়াশোনা সারছেন নিরাপত্তা রক্ষী, ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়!
Next Article
advertisement
Jiban Krishna Saha: ‘মোবাইল ফেলিনি’, মুখ খুলেই বিস্ফোরক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণ! জামিনের আবেদনে তীব্র বিরোধিতা ইডির
‘মোবাইল ফেলিনি’, মুখ খুলেই বিস্ফোরক জীবনকৃষ্ণ! জামিনের আবেদনে তীব্র বিরোধিতা ইডির
  • আদালতে হাজির হয়ে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন জীবনকৃষ্ণ

  • জামিনের আবেদন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার

  • ‘মোবাইল ফেলে দেওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি’, জীবনকৃষ্ণ

VIEW MORE
advertisement
advertisement