পাঠানকোটে হামলা! প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা
Last Updated:
পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় নিরাপত্তার গলদ নিয়ে উঠছে একের পর এক প্রশ্ন । সাত সেনাকর্মীর প্রাণের বিনিময়ে জঙ্গিদের শেষ পর্যন্ত ঠেকানো গেলেও এই নিরাপত্তার গলদের দিক আগামী দিনে শিক্ষার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। অন্তত বিশেষঞ্জদের তেমনটাই মত।
#পাঠানকোট: পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় নিরাপত্তার গলদ নিয়ে উঠছে একের পর এক প্রশ্ন । সাত সেনাকর্মীর প্রাণের বিনিময়ে জঙ্গিদের শেষ পর্যন্ত ঠেকানো গেলেও এই নিরাপত্তার গলদের দিক আগামী দিনে শিক্ষার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। অন্তত বিশেষঞ্জদের তেমনটাই মত।
পাঠানকোটের বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় সামনে এসেছে বড়সড় নিরাপত্তা গলদ। প্রথম থেকেই এই হামলার ইঙ্গিত মিলেছিল। কিন্তু তাতে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা
advertisement
১) হামলার একদিন আগে এসপির গাড়ি ছিনতাই
২) পূর্ব পরিকল্পনা ও স্থানীয় সাহায্য ছাড়া একাজ অসম্ভব
৩) এসপি-র গাড়ি ছিনতাই করা হয় প্রবেশ নিষিদ্ধ এমন কোনও জায়গায় ঢোকার জন্য
advertisement
৪) অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ কোনও জায়গায় হামলার আশঙ্কা আঁচ করাই যেত
৫) এসপির গাড়ির GPRS ট্র্যাক করা হল না কেন?
৬) গাড়ির হদিশ পেলে হামলার স্থান আগেই আঁচ করা যেত
৭) এসপির মোবাইল টাওয়ার ট্র্যাক করতে পারা গেল না কেন?
৮) মোবাইল থেকে পাকিস্তানে ফোন করলেও কেন টাওয়ার লোকেশান দেখা হয়নি?
advertisement
৯) টাওয়ার লোকেশন থেকে সম্ভাব্য আক্রমণ স্থল সম্পর্কে ধারণা মিলত
১০) বিমানঘাঁটির পাঁচিল কীভাবে পার হল জঙ্গিরা ?
১১) পাঁচিল বরাবর টাওয়ার থাকলেও সেখানে নজরদারির কেউ ছিল না?
১২) নাইট ভিশন ডিভাইস কাজে লাগানো হয়নি ?
এসপির গাড়ি ছিনতাইয়ের পর স্থানীয়ভাবে অ্যালার্ট জারি করা হলেও, পরে তা তুলে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। অর্থাৎ ঘটনায় সেভাবে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। যার ফল এতবড় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা। বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ঢুকে হয়তো বিমানের কোনও ক্ষতি করতে পারেনি জঙ্গিরা। কিন্তু সেখানে ঢোকা এবং এতজন সেনাকর্মীদের খুন করাটাই ছিল তাদের লক্ষ্য। যা আটকানো যায়নি নিরাপত্তার এই ফাঁক-ফোকর থাকায়।
Location :
First Published :
January 03, 2016 8:06 PM IST