Oxygen Crisis: ৮৫ লক্ষ টাকা খরচ করে বিনামূল্যে হাসপাতালে অক্সিজেন পৌঁছাচ্ছেন নাগপুরের ব্যবসায়ী, বলছেন 'রমজানের কর্তব্য'!

Last Updated:

৮৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৪০০ মেট্রিক টন লিকুইড অক্সিজেন কিনে দিলেন নাগপুর ও আশপাশের সরকারি হাসপাতালগুলিকে

৮৫ লক্ষ টাকা খরচ করে বিনামূল্যে হাসপাতালে অক্সিজেন পৌঁছাচ্ছেন নাগপুরের ব্যবসায়ী, বলছেন 'রমজানের কর্তব্য'!
৮৫ লক্ষ টাকা খরচ করে বিনামূল্যে হাসপাতালে অক্সিজেন পৌঁছাচ্ছেন নাগপুরের ব্যবসায়ী, বলছেন 'রমজানের কর্তব্য'!
#নাগপুর: জানুয়ারি মাসে অনেকটাই কমে গিয়েছিল দৈনিক সংক্রমণ। অনেকেই ভেবেছিলেন করোনার প্রথম ঢেউ থেকে সেরে উঠেছে দেশ। ফের ধীরে ধীরে মনের সাহস বাড়িয়ে শুরু হয়েছিল স্বাভাবিক জীবনে ফেরা। কিন্তু করোনা যে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ফিরতে চলেছে তার আঁচ কারও কাছেই ছিল না। আর এতেই হয়েছে বিপত্তি। করোনার প্রথম ঢেউ থেকে সেরে ওঠার আগেই দেশে আছড়ে পড়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণ ৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যে শুধু অক্সিজেনের জন্য হাহাকার। অক্সিজেনের ব্যবস্থা হলেই রক্ষা পেতে পারে একটা প্রাণ। দেশের এই সময়ে মানুষের পাশে থাকতে এগিয়ে এলেন নাগপুরের ব্যবসায়ী।
ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা রয়েছে নাগপুরের পেয়ারে খানের। তাঁর রাজ্য মহারাষ্ট্র দেশের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য। পাশাপাশি দেশের এই পরিস্থিতি, নিজেকে আটকে না রেখে এগিয়ে এলেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে। ৮৫ লক্ষটাকার বিনিময়ে ৪০০ মেট্রিক টন লিকুইড অক্সিজেন কিনে দিলেন নাগপুর ও আশপাশের সরকারি হাসপাতালগুলিকে। যাতে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ না হয়।
India Today-তে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত এই ব্যবসায়ী ৩২ টন অক্সিজেন সরবরাহ করেছেন নাগপুর ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন হাসপাতালে।
advertisement
advertisement
মানুষের সেবায় খানের এই অবদান দেখে নাগপুরের পুলিশ-প্রশাসন অক্সিজেন সরবরাহের খরচ বহন করার আর্জি জানায়। কিন্তু মানুষের সেবার কোনও অর্থ নিতেই রাজি নন তিনি। তাই সে আবেদনও তিনি নাকচ করে দেন। এবং জানান রমজানের সময় এটাই তাঁর জাকাত, কর্তব্য। রমজানের সময় মানুষের সাহায্যে বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনকে মুসলিমদের কিছু দান করতে হয়। সেই জাকাতই তিনি করছেন বলে জানান।
advertisement
এমন পরিস্থিতিতে মনুষ্যত্বের খাতিরে, মানুষের প্রতি কাজ করা, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো তাঁর কর্তব্য বলে মনে করেন তিনি। জানা যায়, এই ব্যক্তি বেঙ্গালুরু থেকে তিন গুণ দাম দিয়ে দু'টি ক্রায়োজেনিক গ্যাস ট্যাঙ্কার ভাড়া করেছেন। ১৪ লক্ষ টাকা বেশি দিয়েছেন শুধুই মানুষের পাশে থাকতে।
বর্তমানে ১১৬টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর AIIMS, গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং গান্ধি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নাগপুর-এ পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
advertisement
ব্য়বসার ক্ষেত্রে বর্তমানে তাঁর কাছে অধীনে চলে ২০০০টি ট্রাক, কাজ করেন ১২০০ জন কর্মচারী। ছোট্ট পরিবার থেকে উঠে এসে আজ খানের নাম ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে, এবার দেশের পাতাতেও সোনার জলে তা লেখা থাকবে।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Oxygen Crisis: ৮৫ লক্ষ টাকা খরচ করে বিনামূল্যে হাসপাতালে অক্সিজেন পৌঁছাচ্ছেন নাগপুরের ব্যবসায়ী, বলছেন 'রমজানের কর্তব্য'!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement