#নয়াদিল্লি: JEEMAIN পরীক্ষায় দু লক্ষের বেশি আবেদনকারী পরীক্ষা দিতে পারেনি। বুধবার রাতে এমনটাই ট্যুইট করে জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। কত সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন এবং কত আবেদনকারী ছিল সেই বিষয়ে উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। তিনি ট্যুইট করে বলেন "৮.৫৮ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬.৩৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্যের তরফে ছাত্র-ছাত্রীদের সব রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ।'
এই সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা বছরে দুবার নেওয়া হয়। এ বছরে ইতিমধ্যে জানুয়ারি মাসে এক দফা পরীক্ষা নেওয়া হয়ে গেছে। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা সেপ্টেম্বর এর পরীক্ষায় পরীক্ষা দেননি তাদের মধ্যে বেশিরভাগই জানুয়ারি মাসের পরীক্ষায় বসেছেন। তাই জন্যেই সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা মনে করেছেন সেপ্টেম্বর মাসের পরীক্ষায় না বসাই ভালো। আমরা সেই চিহ্নিতকরণের কাজটি করছি। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আরও দেরি হলে তা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের কাছে আগ্রহ হারাতে এবং কলেজে ভর্তির সমস্ত পরিকল্পনা আবার পরিবর্তন করতে হতো।"
মূলত করোনা পরিস্থিতিতে JEEMAIN পরীক্ষা নেওয়ার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন অভিভাবক। যদিও শেষমেষ সুপ্রিম কোর্ট অভিভাবকদের তরফে করা মামলা খারিজ করে দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে রায় দেয়। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা পিছিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও চিঠি লেখেন। কিন্তু অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে রায় দেওয়ার পরপরই ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে তৎপরতা শুরু করে। গত পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হয়। কলকাতায় অবশ্য হাতেগোনা কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। যদিও এই সময়ে পরীক্ষা নেওয়া উচিত কি উচিত নয় তা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থেকেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছিল। কোন কোন ছাত্র বা ছাত্রী পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দিল আবার কোনও কোনও ছাত্রছাত্রী বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিল।
Out of 8.58 lakh #JEEMains applicants, 6.35 lakhs appeared for the exam. Central & respective State Governments assured all possible assistance to the students, for which I compliment all State Governments as well. This entire effort displayed the spirit of cooperative federalism
— Dr. Ramesh Pokhriyal Nishank (@DrRPNishank) September 9, 2020
#JEEMains Exams are held twice in a year. The previous one was held in January this year. Several students who didn't appear for the exam in Sept may have done well in the January exam hence did not feel the need to sit for the exam this time. We are ascertaining those numbers.
— Dr. Ramesh Pokhriyal Nishank (@DrRPNishank) September 9, 2020
তবে এত বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপস্থিত কেন এর ব্যাখ্যা হিসেবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য জানুয়ারি মাসের পরীক্ষায় বসার ব্যাপারটিকেই উল্লেখ করেছেন। এত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি কারণ হিসেবে উঠতে পারে তা ভেবেই জানুয়ারি মাসের এবং বছরে দুবার পরীক্ষা নেওয়ার কথাকেই ব্যাখ্যা হিসেবে রাখা হয়েছে বলেই রাজ্যের একাংশ শিক্ষাবিদদের অভিমত।
অন্যদিক, রবিবার অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বর সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট করে শনিবারের লকডাউন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যদিও আগে থেকেই দু’দিন লকডাউন ঘোষণা করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক সুরক্ষার কথা ভেবে বৃহস্পতিবার কলকাতা তথা রাজ্যের পরীক্ষা কেন্দ্র গুলি চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে ।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়