সোমবার খাড়্গের বাসভবন নয়াদিল্লির ১০, রাজাজি মার্গের বাড়িতে যান জেডি (ইউ) নেতা নীতীশ কুমার৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন লালন সিং৷ বৈঠকে লালুপুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবেরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল৷ কিন্তু, শেষ মুহূর্তে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি বৈঠকে থাকতে পারেননি৷
rahul gandhiনয়াদিল্লি: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার দায়িত্ব যেন স্বেচ্ছায় নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন নীতীশ কুমার৷ গত রবিবারই তিনি বৈঠক করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে৷ আজ, সোমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও রাহুল গান্ধির সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি৷
চব্বিশের আগে বিরোধী ঐক্য নিয়ে সলতে পাকানো চলছেই৷ কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে একটি বৃহত্তর বৈঠক করার পরিকল্পনা করছেন নীতীশ৷ সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তিনি দেখা করেন৷ আগামিকাল, অর্থাৎ, মঙ্গলবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশাপাশি তাঁরও ফের কলকাতায় আসার কথা৷
সোমবার খাড়্গের বাসভবন নয়াদিল্লির ১০, রাজাজি মার্গের বাড়িতে যান জেডি (ইউ) নেতা নীতীশ কুমার৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন লালন সিং৷ বৈঠকে লালুপুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবেরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল৷ কিন্তু, শেষ মুহূর্তে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি বৈঠকে থাকতে পারেননি৷
It looks like the Modi Govt has ensured election of President of India from the Dalit and the Tribal communities only for electoral reasons.
While Former President, Shri Kovind was not invited for the New Parliament foundation laying ceremony…
বৈঠকের পরে হিন্দিতে একটি ট্যুইটও করেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে৷ লেখেন, ‘এবার দেশ ঐক্যবদ্ধ হবে৷ গণতন্ত্রের শক্তির বার্তাই আমরা দিতে চাই৷ আজ, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে রাহুল গান্ধি এবং আমি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করলাম৷’
সূত্রের খবর, আমলা নিয়ে দিল্লি সরকার ও কেন্দ্রের টানাপড়েনে কেজরিওয়ালকে সমর্থনের ইঙ্গিতও দিয়েছে কংগ্রেস৷ আমলাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নতুন অর্ডিন্যান্স আনতে চলেছে কেন্দ্র৷ সেই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করার জন্য বিরোধী দলগুলির কাছে সমর্থন প্রার্থনা করছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ মঙ্গলবার সেই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতেই কলকাতায় আসছেন তিনি৷
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা হয় এই নেতাদের মধ্যে৷ আগামী ২৮ মে দিল্লি নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন৷ ওই দিনটি বিরোধীরা সামগ্রিক ভাবে বয়কট করবে কি না তা, নিয়েও কথা হয় এদিন৷
advertisement
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি দেশে থাকা সত্ত্বেও তাঁকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছেন খাড়্গে থেকে রাহুল৷ ২৮ তারিখ নিয়ে বিরোধীদের অবস্থান কী হয়, তা স্পষ্ট হবে আগামী কয়েক দিনেই৷