#নয়াদিল্লি : দিল্লিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনটির মালিক মণীশ লকরাকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে মণীশ এবং তার স্ত্রীকে ধরার জন্য তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এর আগে আগুন লাগা ভবনটিতে একটি সংস্থার মালিক হরিশ গোয়েল এবং বরুণ গোয়েল নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বাবা অমরনাথ গোয়েলের আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির কোনও অনুমোদন ছিল না। তার কোনও সুরক্ষা ছাড়পত্র ছিল না বলেও জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৩ মে রাজধানী নয়াদিল্লির মুন্ডকা এলাকায় বহুতল ভবনটিতে আগুন লাগে। জতুগৃহ এই ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সংস্থা তাদের অফিস চালাচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ভবনটির কোন সুরক্ষা সংক্রান্ত ছাড়পত্র ছিল না। বিপজ্জনক আপাতকালীন পরিস্থিতিতে বেরোনোর কোনও দরজা ছিল না বলে জানা গিয়েছে। একটিমাত্র দরজা ছিল এই বহুতল ভবনটিতে। ভবনটির সিঁড়ি তে রাখা হয়েছিল কার্টুনের স্তূপ। সেই কারণেই বেরোতে পারেননি কেউই।
আরও পড়ুন: সংখ্যাতত্ত্বে ১৬ মে: দেখে নিন আপনার কেমন যাবে সোমবার!
প্রাণ বাঁচাতে তিনতলা, দোতলা থেকে ঝাঁপ দেন অনেকেই। তাদের হাতে পায়ে মারাত্মক রকমের চোট লেগেছে। অনেকের শিরদাঁড়া এবং কোমরের হাড় ভেঙে দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা। যে দুজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের সিসিটিভি এবং ইন্টারনেটের রাউটার তৈরি এবং বিক্রির ব্যবসা ছিল। সেখানে কাজ করতেন অনেক মহিলা। দিল্লিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার মধ্যে ২৭ জনই মহিলা। মুন্ডকার ওই ভবনে মাসে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন মহিলারা। অনেকেই যোগ দিয়েছিলেন করোনা পরিস্থিতির পর। ভবনটি পুরোপুরি অবৈধ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সঙ্গমের আগে কি স্বমেহন করা উচিত? এটা কি পার্টনারকে ঠকানো? কী হয় এতে জানুন
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, প্রায় ৪৫ মিনিট পর ঘটনাস্থলে দমকল এসে পৌঁছায়। সেই সময় ভবনে আটকে পড়াদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন ক্রেন চালক দয়ানন্দ তিওয়ারি। ৫০ জনের বেশি মানুষকে তিনি উদ্ধার করেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। তবে আরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করতে না পারার দুঃখ রয়ে গিয়েছে তাঁর।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Delhi Fire, Delhi Police