কৃষক আন্দোলন: কোথাও যেন বৃহত্তর অংশের চাষিদের স্বার্থের কথা প্রতিফলিত হচ্ছে না, প্রশ্ন ক্রমবর্ধমান!

Last Updated:

সরকার ও আন্দোলনকারীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ারও একটি সমস্যা রয়েছে। তাই সমস্যার সমাধানও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

#নয়াদিল্লি: দেশ জুড়ে তো বটেই, এমনকি দেশের বাইরেও এখন এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষকদের আন্দোলন। দিল্লিতে পঞ্জাব-হরিয়ানার অগণিত চাষিদের এই প্রতিবাদ-আন্দোলন সভাকে ঘিরে জল্পনাও বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের কথায়, এতে চাষিদের মূল ইস্যু চাপা পড়ে যাচ্ছে। কৃষি আইন ফেরানোর দাবিতে চলা বিক্ষোভ যেন অন্য দিকে মোড় নিয়েছে। তাঁদের কথায়, আন্দোলন জুড়ে কোথাও যেন চাষিদের বৃহত্তর স্বার্থের কথা প্রতিফলিত হচ্ছে না। আর এই ফাঁকে বিরোধীরা রাজনীতিও শুরু করেছে।
এ ক্ষেত্রে সরকার ও আন্দোলনকারীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ারও একটি সমস্যা রয়েছে। তাই সমস্যার সমাধানও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্ট আইনের ভাল তথা কার্যকরী দিকগুলিও চাপা পড়ে যাচ্ছে। আর একটা বড় বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। আন্দোলন জুড়ে উত্তেজনা, ক্রোধ প্রচুর আছে কিন্তু মূল তাৎপর্য কী, সেটা এখনও ধোঁয়াশায়। উদাহরণ হিসেবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Trudeau ) প্রসঙ্গ তুলে আনা যেতে পারে। ট্রুডো চাষিদের সমর্থন করছেন। কিন্তু তিনি আসলে কী সমর্থন করছেন? এই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তিনি কি চাষিদের Produce Trade & Commerce Act-এর বিরোধিতা করেছেন? এ ক্ষেত্রে বেসরকারি মান্ডির রমরমা, রাজ্য সরকারের নানা রকমের হস্তক্ষেপের ইস্যুও বর্তমান। তাই সামগ্রিক বিষয় গভীরে বোঝার দরকার আছে।
advertisement
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ২২টি শস্যের জন্য মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস (MSP) নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কৃষকদেরও একটি সুনিশ্চিত মূল্য ও বাজার পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, রাজ্যগুলি PDPS বা প্রাইস ডেফিসিয়েন্সি পেমেন্ট স্কিম সিস্টেমও বজায় রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে MSP ও খোলা বাজার অনুযায়ী আলাদা ভাবে টাকা পাবেন চাষিরা। কিন্তু এখন পুরো কৃষক আন্দোলনের গতিপথই যেন একটি নির্দিষ্ট অভিমুখে চালিত হয়েছে। লক্ষ্য, যাতে রাজ্যচালিত মান্ডিগুলি থেকে MSP অনুযায়ী যাবতীয় সংগ্রহ বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বাস্তবে এটি সম্ভব নয়। পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা MSP-তে বিনিয়োগে করেও অধিকাংশই উপকৃত হননি। শান্তা কুমার কমিটিও মাত্র ৬ শতাংশের কথা উল্লেখ করেছে। তাই অন্য দিক দিয়ে দেখতে গেলে চাষিদের একটি বৃহত্তর স্বার্থের বিষয়ও তুলে ধরছে না এই আন্দোলন।
advertisement
advertisement
প্রসঙ্গত, আখ-চাষীরা আবার FRP রূপে একটি নির্দিষ্ট দামের সুবিধা পাচ্ছেন। এই দাম নির্দিষ্ট হয়েছে কেন্দ্র ও SAP (State Adjusted Price)-এর দ্বারা। অন্য দিকে দুধের দামে আবার ভিন্ন পরিস্থিতি। এ ক্ষেত্রে দুধের দাম ঠিক করার ক্ষেত্রে সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ নেই। পুরো বিষয়টি দেখে মিল্ক ফেডারেশনগুলি। এ ক্ষেত্রে আবার ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রসঙ্গও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একটি অষ্পষ্ট পরিসরের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে চাষিদের দাবি-দাওয়াগুলি।
advertisement
সব মিলিয়ে এ এক জটিল পরিস্থিতি। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের কথায়, এই পরিস্থিতিতে ঠাণ্ডা মাথায় ও ধৈর্যের সঙ্গেই পদক্ষেপ করতে হবে। কারণ সরকার সমস্ত কিছু ত্যাগ করে বশ্যতা স্বীকার করতে পারে না। কিন্তু আন্দোলনকারী কৃষকদের বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে একটি পারস্পরিক বোঝাপড়ার সেতু নির্মাণ করতে পারে!
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
কৃষক আন্দোলন: কোথাও যেন বৃহত্তর অংশের চাষিদের স্বার্থের কথা প্রতিফলিত হচ্ছে না, প্রশ্ন ক্রমবর্ধমান!
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement