#নয়াদিল্লি: জল (Water) মানেই জীবন। আসলে এক জন মানুষের বাঁচার জন্য জলের প্রয়োজন। তবে শুধু জল হলেই হবে না, জল পরিষ্কার হতে হবে। কারণ হাইজিন বজায় রাখাটাও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এমনিতে নদীমাতৃক দেশ। এখানে বর্ষার বৃষ্টির জলের উপরই নির্ভর করে জীবন-জীবিকা। আর সেই বৃষ্টির জলই ধরে রেখে বা সংরক্ষণ (Water Conservation) করে বিভিন্ন কাজে লাগানো হয়। তাই আমাদের গ্রামের জনজীবনের সঙ্গে সঙ্গে নগরজীবনও বৃষ্টিপাতের পরিমাণের উপর নির্ভরশীল হয়। যদিও বিগত কয়েক বছরে বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরিমাণ বেড়েছে। ফলে জলের মান পড়ছে এবং স্যানিটেশনেও ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
ভবিষ্যতে যে হেতু জলের চাহিদা বাড়বে, তাই সেই চাহিদা মেটাতে জল সংরক্ষণ করতে হবে এবং এর জন্য হাতে-হাত মিলিয়ে আমজনতাকে উদ্যোগ নিতে হবে। সাম্প্রতিক অতীতে কিছু জল সংরক্ষণ প্রকল্প (Water Conservation Project) এবং স্যানিটেশন প্রোজেক্ট হয়েছে, যা চূড়ান্ত ভাবে সাফল্যও লাভ করেছে।
আরও পড়ুন -IPL Points Table 2021: RCB-র জয়ে KKR -র চাপ! কী বলছে পয়েন্টের সাপ -সিঁড়ি
জল সঞ্চয় প্রকল্প:
খরা কবলিত এলাকা এবং খরার মতো পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেই প্রশাসনের এই উদ্যোগ। বিশেষ করে কৃষকদের সুবিধার্থেই এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল নালন্দায়। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল, আরও আরও বাঁধ বানানো এবং সেচের চ্যানেল থেকে পলি দূর করা। সেই সঙ্গে ওয়াটার হারভেস্টিং বা জল ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলাও এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। কৃষকদের সাধারণ জ্ঞানের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি মিলিয়ে একটা দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ বার করতে পেরেছে এই প্রকল্প।
৫০ দিনে ১০০ পুকুর প্রকল্প:
১৯৮০ সালে কেরলের এর্নাকুলামে অন্তত ৩০০০ পুকুর ছিল। অথচ সেই সংখ্যাটা নামতে নামতে ২০১৬ সালে ৭০০-য় এসে ঠেকেছে। আর এই বছরেই এর্নাকুলাম জেলা মারাত্মক খরার কবলে পড়ে। ফলে এখানকার মানুষজনের দৈনন্দিন জীবন প্রায় দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল। কারণ শুধু কৃষিকাজেই নয়, জামা কাপড় কাচা, বাসন মাজার মতো ঘরকন্নার কাজেও পুকুরের জল ব্যবহার করা হয়। তাই সেই সময়ই এই জেলার কালেক্টর মহম্মদ ওয়াই সাফিরুল্লা ৫০ দিনে ১০০ পুকুর প্রকল্প-এর ঘোষণা করেন। আমজনতার সহযোগিতায় মাত্র ৪৩ দিনেই ১০০ পুকুর তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আর মাত্র ৬০ দিনে ১৬৩টি পরিষ্কার জলের পুকুর তৈরি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন - IPL 2021: Riyan Parag-র বুলেট থ্রো, মাত হয়ে গেলেন Virat Kohliও, দেখুন ভিডিও
জীবিকা প্রকল্প:
উধমপুর এমন একটি জায়গা, যেখানকার ৮০ শতাংশ মানুষ সাধারণত কৃষকদের উপরেই নির্ভরশীল। এই জীবিকা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল- চিরস্থায়ী জলাধার থেকে জল কোনও কৃত্রিম জলাধারে সঞ্চয় করে রাখা। এই ধরনের জলাধারগুলি জল ধরে রাখারও কাজ করে। আর এখান থেকে জল অল্প অল্প করে কৃষিকাজে সেচের জন্য সরবরাহ করা হয়। জল ব্যবস্থাপনার দারুণ পন্থা এই জীবিকা প্রকল্প।
মনে রাখতে হবে, পরিষ্কার জল শুধুমাত্র প্রয়োজনীয়তা নয়, এটা সকলের সমষ্টিগত দায়িত্বও বটে! আসলে এই প্রকল্পগুলি প্রমাণ করে দিয়েছে, ইচ্ছে থাকলে উপায়ও বেরিয়ে আসে। আমাদের পরিবেশ বাঁচাতে সচেতনতা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। News18 এবং হারপিক ইন্ডিয়ার উদ্যোগে ‘মিশন পানি’-রও দু’টো লক্ষ্য রয়েছে। সেই দুই লক্ষ্য হল- জল সঞ্চয় করা এবং পাবলিক হাইজিন নিশ্চিত করা, যাতে প্রত্যেক নাগরিক সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।