ঘোড়ায় চেপে কাজে যেতে চাই, অদ্ভুত আর্জি মহারাষ্ট্রের সরকারি কর্মচারীর
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
সংক্রমণ এড়াতে কেউ টগবগ করে ঘোড়ায় চেপে অফিস যাচ্ছেন, এই দৃশ্য কল্পনা করা একটু অবাস্তব। তবে এ রকমই ঘটেছে বাস্তবে
#মুম্বই: পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে অফিসের দরজা। এত দিন কোভিড সংক্রমণের জন্য সব কিছুই বন্ধ রাখা হয়েছিল। এই দীর্ঘ সময়ে সরকারি থেকে বেসরকারি, প্রায় সব কর্মচারীই বাড়িতে বসে কাজ করায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন। এত দিন পড়ে অফিস খোলায় আবার দৌড়ঝাঁপের জীবনে ফিরে যেতে একটু অসুবিধা হওয়া স্বাভাবিক। একে করোনার জন্য এমনিতেই রাস্তা ঘাটে বাস, ট্যাক্সি বা অটো অপ্রতুল হয়ে পড়েছে। মেট্রো বা লোকাল ট্রেনেও তিল ধারণের ঠাই থাকে না। তাছাড়া পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করলে করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকটাই বেড়ে যায়। অনেক নিত্যযাত্রী তাই নিজের স্কুটার, সাইকেল বা গাড়িতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে নিয়েছেন। কিন্তু ফাঁপরে পড়েছেন তাঁরা যাঁদের নিজস্ব কোনও যানবাহন নেই।
তবে সংক্রমণ এড়াতে কেউ টগবগ করে ঘোড়ায় চেপে অফিস যাচ্ছেন, এই দৃশ্য কল্পনা করা একটু অবাস্তব। তবে এ রকমই ঘটেছে বাস্তবে। মহারাষ্ট্রের নান্দেদ শহরের এক সরকারি কর্মচারী উপরমহলের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছেন এই বলে যে তিনি যেন প্রতি দিন ঘোড়ায় চেপে অফিস আসার সুযোগ পান!
সতীশ পঞ্জাবরাও দেশমুখ হলেন একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্ট অফিসার। তিনি নান্দেদ কালেকটোরেটে এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিমে কাজ করেন। দেশমুখই তাঁর এই অদ্ভুত মনোবাসনার কথা চিঠি লিখে কালেক্টর অফিসে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে প্রতি দিন অফিস আসতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তবে তিনি কাজে আসতে চান ঘোড়ায় চেপে।
advertisement
advertisement
দেশমুখ চিঠিতে জানিয়েছেন যে তাঁর কিছু শারীরিক সমস্যা আছে। তিনি পিঠের ব্যথায় আক্রান্ত। তাই তাঁর এমন কিছু ব্যবস্থা প্রয়োজন যাতে তিনি আরামদায়ক ভাবে কাজে আসতে পারেন। বাইক বা স্কুটার চালিয়ে তাঁর পক্ষে কাজে আসা সম্ভব নয়। কারণ এতে তাঁর পিঠের ব্যথা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। স্কুটার বা বাইকের পরিবর্তে গাড়ি কেনাও দেশমুখের সাধ্যের বাইরে। তাই অনেক ভেবে-চিন্তে সব দিক সামলে আপাতত একটি ঘোড়া কেনার পরিকল্পনা করছেন এই কর্মী। চিঠিতে ঘোড়ায় চেপে অফিস আসার অনুমতির সঙ্গে সঙ্গে সেই ঘোড়া পার্ক করার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
advertisement
এই চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়া মাত্র ভাইরাল হয়ে যায়। তবে অনেকেই দেশমুখের এই অদ্ভুত ইচ্ছেতে ঠাট্টা করলেও বেশিরভাগ নেটিজেনই তাঁর জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।
Location :
First Published :
March 05, 2021 10:36 AM IST