সমকামিতা নিয়ে রায় দেওয়ার আগে মনোবিদের কাছে ছুটলেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারক, সহমর্মিতার অনন্য নজির আদালতের!

Last Updated:

সমকামী দৃষ্টিভঙ্গি এবং সম্পর্কের গতিবিধি সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা এবং অন্তর্দৃষ্টি পেতে বিচারপতি এন আনন্দ ভেঙ্কটেশ (N Anand Venkatesh) চেন্নাইয়ের মনস্তত্ত্ববিদের কাছ থেকে 'মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষা' নিতে চান।

সমকামিতা নিয়ে রায় দেওয়ার আগে মনোবিদের কাছে ছুটলেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারক, সহমর্মিতার অনন্য নজির আদালতের!
সমকামিতা নিয়ে রায় দেওয়ার আগে মনোবিদের কাছে ছুটলেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারক, সহমর্মিতার অনন্য নজির আদালতের!
#চেন্নাই: সমকামিতা এবং সমকামী সম্পর্ককে আরও ভালো ভাবে বোঝার জন্য মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতি সম্প্রতি একজন মনস্তত্ত্ববিদের সঙ্গে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক করেছেন। কারণ এক লেসবিয়ান দম্পতি সম্পর্কিত মামলায় রায় দেওয়ার আগে তিনি এই বিষয়ে আগে বুঝতে চান, তাই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
বুধবার তামিলনাড়ুতে ঘটনাটি ঘটে, যখন মাদুরাইয়ের দুই মহিলার সম্পর্কিত বিষয়ে একটি মামলায় আদালত রায় দিচ্ছিল। অন্য দিকে, মনস্তত্ত্ববিদের সঙ্গে পরামর্শের পরে বিচারক কর্তৃপক্ষকে উভয় মহিলার বাবা-মায়ের দায়ের করা নিখোঁজ সংক্রান্ত মামলাটি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। জানা যায়, সমকামী দৃষ্টিভঙ্গি এবং সম্পর্কের গতিবিধি সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা এবং অন্তর্দৃষ্টি পেতে বিচারপতি এন আনন্দ ভেঙ্কটেশ (N Anand Venkatesh) চেন্নাইয়ের মনস্তত্ত্ববিদের কাছ থেকে 'মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষা' নিতে চান।
advertisement
বিচারপতি ভেঙ্কটেশ বলেছিলেন যে, 'মামলার রায় আমার মন থেকে আসা উচিত, আমার মস্তিষ্ক থেকে নয়। আমি এই বিষয়ে জানি না তাই সঠিক রায় দেওয়ার আগে আমাকে জানতে হবে। ফলে মনস্তাত্ত্বিক বিদ্যা দিনাকরণের (Vidhya Dinakaran) কাছে মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষা পেতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক করেন তিনি। বিচারক আরও বলেছেন যে, রায় যাই হোক না কেন, কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক সেশনটি অনুসরণ করে মামলার রায় তাঁর হৃদয় থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।
advertisement
advertisement
মাদ্রাজ হাই কোর্ট প্রাথমিক ভাবে ওই লেসবিয়ান দম্পতির কাউন্সেলিং রিপোর্টে বলে যে আবেদনকারীরা নিজেদের সম্পর্কের বিষয়ে যথেষ্ট স্পষ্ট। এছাড়া তাঁরা অভিভাবকদেরও অনেক সম্মান করেন এবং কোনও বিরূপ মনোভাব ছিল না তাঁদের অভিভাবকদের প্রতি। কিন্তু তাঁদের ভয়- চাপের মুখে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে, যা ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। আদালত এর আগে অভিভাবক-সহ ওই দুই মহিলাকেও কাউন্সেলিংয়ের পরামর্শ দেয়। তবে আদালত উল্লেখ করেছে যে অভিভাবকদের উদ্বেগের কারণ, তাঁদের মেয়ের বদনাম, সামাজিক চাপ এবং ভবিষ্যতের সুরক্ষার বিষয়েই। তবে মনস্তাত্ত্বিকের মতে তাঁদের দু'জনকে জোর করে আলাদা করা হলে তা ট্রমার কারণ হতে পারে।
advertisement
বিষয়টি তামিলনাড়ুর ওই দম্পতির জন্য মজাদার ভাবে শেষ হলেও, দম্পতি হিসাবে তাঁদের অধিকার রক্ষার জন্য আইন না থাকার কারণে ভারত জুড়ে লেসবিয়ান দম্পতিরা সামাজিক কলঙ্ক, বৈষম্য এবং নির্যাতনের মুখোমুখি হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
সমকামিতা নিয়ে রায় দেওয়ার আগে মনোবিদের কাছে ছুটলেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারক, সহমর্মিতার অনন্য নজির আদালতের!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement