#নয়াদিল্লি: আজকের রায় তাঁর ও তাঁর দল বিজেপি-র বিশ্বাস এবং রাম মন্দির আন্দোলনের প্রতিশ্রুতির পক্ষে হয়েছে৷ বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় বেকসুর খালাস পেয়ে লখনউয়ে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের রায়কে এই ভাবেই স্বাগত জানালেন প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী৷ রায় ঘোষিত হওয়ার পরেই 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দেন আডবাণী৷ একই সঙ্গে উত্সবের মুহূর্ত বলেও ব্যাখ্যা করেন আডবাণী৷
এক বিবৃতিতে আডবাণী জানালেন, 'এই রায় আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, বিজেপি-র বিশ্বাস ও রাম মন্দির আন্দোলনের পক্ষে হয়েছে৷ ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের রাম মন্দির নিয়ে ঐতিহাসিক রায়ের পরে আজকের রায়ে আমি আশীর্বাদধন্য৷ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আমার দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন অযোধ্যায় বিশাল রাম মন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত হয়েছে৷ ৫ অগাস্ট রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হতে দেখলাম৷'
তাঁর কথায়, 'আমি এই রায়কে খোলা মনে স্বাগত জানাচ্ছি৷ আমার কোটি কোটি দেশবাসীর মতো আমিও অযোধ্যায় সুন্দর রাম মন্দির দেখার অপেক্ষায় আছি৷'
লখনঔয়ে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় অভিযুক্ত ৩২ জনকেই বেকসুর খালাস করেছে৷ অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশি, উমা ভারতী ও কল্যাণ সিংয়ের মতো ব্যক্তিত্বরা৷ আদালত রায়ে জানায়, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্বপরিকল্পিত ছিল না৷
সিবিআই আদালতের বিচারক এস কে যাদব বলেন, 'কিছু সমাজবিরোধী মসজিদ ভেঙেছিল৷ অভিযুক্তরা ধ্বংস হওয়ার রোখার চেষ্টা করেছিলেন৷ আদালতে যা অডিও ভিডিও প্রমাণ সিবিআই জমা দিয়েছে, তাতে এই ৩২ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও চার্জ দেওয়া যাচ্ছে না উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে৷'
গত ২৪ জুলাই এই মামলায় আডবাণীর বয়ান রেকর্ড করা হয়৷ তাঁকে ১০০টি প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ আডবাণী ও জোশি, দুজনেই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন৷
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল করসেবকরা। তাদের দাবি ছিল, ওই স্থানে রাম মন্দির ছিল। ঘটনায় লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশি, উমা ভারতীর মতো বিজেপি নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে বাবরি মসজিদ ধ্বংসে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্ত করে সিবিআই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।