#কোঝিকোড়: করোনাকালে বিনামূল্যের অক্সিজেন যখন হাজার টাকায় বিকোচ্ছে, কন্নুড়ের ছোট্ট গ্রামের বিড়ি শ্রমিক মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য জীবনের শেষ সঞ্চয়টুকুও দান করে দিলেন। অবসরের সময় হাতে পেয়েছিলেন মাত্র ২ লক্ষ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর Ds Distress Relief Fund--এ সেটাও দান করে দিলেন ওই বিড়ি শ্রমিক। সরকারি ভ্যাকসিন চ্যালেঞ্জ ক্যাম্পেইনে এভাবেই সাহায্য করলেন কন্নুড়, চালদান হাউজের ৬৩ বছরের জনার্দনন (Janardhanan)।জনার্দনন বর্তমানে নিজে একজন বিড়ি শ্রমিক, যিনি প্রতি দিন বিড়ি বানিয়ে নিজের জীবন যাপন করেন। কেরল দীনেশ বিড়ি সোসাইটিতে এর আগে কাজ করতেন, সেখান থেকে অবসর নেওয়ার সময় ওই সংস্থা তাঁকে ২ লক্ষ টাকার অবসর ভাতা প্রদান করে। জনার্দনন নিজে কেরালার সিপিএম-এর সমর্থক। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ”কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারই বিজয়ন রাজ্যের সব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে যে ভ্যাকসিন চ্যালেঞ্জের কথা ঘোষণা করেছেন, তাতে আমি অনুপ্রাণিত হই এবং সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে CMDRF এর কাছে টাকা প্রদান করতে সম্মতি জানাই। কারণ দেশ এবং রাজ্যের পরিস্থিতি আমাকে ভাবিয়ে তুলছে।” তিনি আরও জানান ব্যাঙ্ক কর্মীরা তাঁর ২ লক্ষ টাকা দানের কথা শুনেই চমকে গিয়েছিলেন। কারণ এই টাকা ক'টাই তাঁর জীবনের শেষ সম্বল। এখন তাঁর অ্যাকাউন্টে মাত্র ৮০০-র বেশি কিছু টাকা পড়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্কের কর্মীরা তাঁকে কিছু টাকা দান করবার জন্য পরামর্শ দেন, কিন্তু এই বিড়ি শ্রমিকের দানশীল মনোভাব তাঁকে সেটা করতে দেয়নি। তিনি জীবনের পুরো সম্বলটুকু দান করেছেন।সমাজের রিয়েল হিরো এঁরাই। যাঁরা আভিজাত্য কী জিনিস তা কোনও দিনও জানতেই চান না। সাধারণ মানুষের করুণ পরিস্থিতি যাঁদের মন-মস্তিষ্ক প্রভাবিত করে। কেরলের এই বিড়ি শ্রমিক তাঁদের মধ্যে অন্যতম তো বটেই! সমাজ কতদিন এঁদের মনে রাখবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকে! কিন্তু, এমন মানুষদের দানশীল মনোভাব বার বার মন ছুঁয়ে যায়। আসলে এমন মানুষরা কোনও দিনও অভাবে পড়েন না। ৬৩ বছরের এই বৃদ্ধের মানসিক শক্তি এতটাই প্রশংসনীয়, যে জীবনের সম্বলটুকু দান করা ক্ষেত্রেও তাঁর সাহস অটুট থাকে।
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।