#জম্মু ও কাশ্মীরঃ সাত মাসের অপেক্ষার অবসান৷ অবশেষে জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহকে মুক্তি দিচ্ছে জম্মু কাশ্মীর প্রশাসন৷ শুক্রবার এমনই নির্দেশিকা দিয়েছে জম্মু কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র দফতর৷
জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের সময় গোটা উপত্যকা থেকেই বহু রাজনৈতি নেতাকে তুলে নেওয়া হয়৷ সেই তালিকায় ছিলেন পি়ডিপি নেতা ফারুক আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাহরাও৷ ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট তাঁদের আটক করা হয়৷ ডিসেম্বরে ফারুক আবদুল্লাহর নজরবন্দি থাকার মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়৷
কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপির মতো বিরোধী দলগুলি জনসুরক্ষা আইনে কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করা নিয়ে বার বার মুখ খুলেছে৷ তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বন্দি করে রাখা স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এই মর্মে যৌথ বিবৃতিও দেয় রাজনৈতিক দলগুলি৷ সেখানে বলা হয়, জনসুরক্ষা লঙ্ঘিত হবে এমন কোনও কাজ এই নেতারা অতীতে করেননি৷ এমনকি জাতীয় সুরক্ষা বিষয়টিকেও তাঁরা অমর্যদা করেননি৷ তাহলে কেন এই কাজ করছে কেন্দ্র?
ইতিমধ্যে মায়ের মুক্তি চেয়ে বারবার সরব হন মেহেবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা মুফতি৷ আটক করহা হয় তাঁকেও৷ ওমর আবদুল্লাহর একটি ছবি সামনে এলে, তা ভাইরাল হয়ে যায়৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে লেখেন, আবদুল্লাহ কে চেনাই যাচ্ছে না৷ জননিরাপত্তা আইনে কেন ওমর বন্দি তাই নিয়ে জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনের কাছে জবাবও চায় সুপ্রিম কোর্ট৷
প্রসঙ্গত জনসুপরক্ষা আইনে যে কাউকেই বিনা বিচারে তিন মাস বন্দি রাখা যায়৷ ওমর আবদুল্লাহ সেই বন্দিত্ব থেকেই মুক্তি পেতে চলেছেন৷ বাকিদের ভাগ্যের শিঁকে কবে ছিঁড়বে এখনও জানা যায়নি৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Article 370, Detention, Farooq Abdullah, Jammu And Kashmir