#দুবাই: কথায় বলে রাখে হরি মারে কে। সেই কথা যে জীবনে ফলবে তা ভাবতেও পারেননি এই ব্যক্তি। কোঝিকোড়ে দুর্ঘটনা কবলিত বিমানটিতেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর, শেষমুহূর্তে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে যায় দেশে ফেরা। এখন সবটা শুনে নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না টি নৌফল।
শুক্রবার সময়মতোই দুবাই এয়ারপোর্টে পৌঁছন টি নৌফল। কিন্তু শেষমুহূর্তে তাঁকে আটকে দেয় দুবাই এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশান অফিসাররা। বলা হয় কিছু বকেয়া মেটাননি তিনি, তাই দেশ ছাড়ার অনুমতি মিলবে না। এয়ারপোর্ট থেকেই টি নৌফল আত্মীয়স্বজনকে জানিয়ে দেন বাড়ি ফিরতে পারছেন না। রেগেমেগে এয়ারপোর্ট চত্বরও ছাড়েন তিনি। এই ঘটনার ঘনঘটায় তিনি ঘুণাক্ষরেও বোঝেননি কী ভাগ্য তাকে একটা সুযোগ দিচ্ছে।
সমস্তটা শুনে হতচকিত হয়ে গিয়েছেন নৌফল। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, "আমায় অফিসার যখন জানান বাড়ি ফিরতে পারব না মন ভেঙে গিয়েছিল। আমি অনেক অনুনয় করি, কিন্তু ওঁদের রাজি করতে পারিনি। এখানের বাসায় ফিরে আসি। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই খবর শুনতে পাই। কাকে ধন্যবাদ দেব জানি না!"
নৌফলে গলায় একই সঙ্গে কান্নাহাসির দোলাচল। বলছিলেন, "আমি বেঁচে গেলাম তাই ভাল লাগছে কিন্তু এত মানুষ মারা গেলেন তাঁদের জন্য মনটা ভার হয়ে আছে।"
একদিনে জোড়া সুসংবাদ পেয়েছেন নৌফল। লকডাউনে তাঁর কাজ গিয়েছিল, সেই কারণেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এদিন তাঁর পুরনো সংস্থাই তাঁকে আবার কাজে ফিরিয়েছে।
নৌফল যখন এয়ারপোর্টে যান দুই মহিলার সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। ওই দুই মহিলারই আত্মীয়রা তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি যেন ওঁদের খেয়াল রাখেন।এই দুজনের একজন আসন্নপ্রসবা, অন্যজন বৃদ্ধা। খবরটা পেয়েই তাই ওঁদের খবর নিতে হেল্পলাইন নম্বরে ডায়াল করেন তিনি। ওই বৃদ্ধার খবর নৌফল জানতে পেরেছেন, সামান্য চোট থাকলেও বাড়ি ফিরতে পেরেছেন তিনি। কিন্তু কী অবস্থা ওই গর্ভবতী মহিলার? প্রাণ আছে শরীরে? গর্ভের সন্তানটি পৃথিবীর আলো দেখবে তো? এখনও আঁধারে তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Air india plane accident, Kozhikode air india plane accident