#সুকমা:
২২ জন জওয়ানের মৃত্যু। ক্ষোভে, দুঃখে স্তব্ধ যেন গোটা দেশ। ছত্তীসগড়ের বীজাপুর-সুকমা সীমান্তে মাওবাদীদের হামলায় ২২ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত ৩১ জন। এমন পরিস্থিতিতে অসমের নির্বাচনী প্রচারে কাটছাঁট করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার সকালে ছত্তীসগড়ে যাচ্ছেন তিনি। সকাল ১১ টা নাগাদ ছত্তীসগড়ের জগদলপুরে পৌঁছবেন তিনি। সেখানেই শহিদ জওয়ানদের শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর সোজা চলে যাবেন বাসাগুরায় সিআরপিএফ শিবিরে। তার পর রায়পুরের হাসপাতালে আহত জওয়ানদের সঙ্গেও দেখা করতে যাবেন তিনি।সিআরপিএফের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, এই হামলার জবাব মাওবাদীদের দেওয়া হবে। সিআরপিএফ-এর ডিজি জানিয়েছিলেন, বীজাপুর-সুকমা এলাকায় মাওবাদীদের নিশ্চিহ্ন করতে বাহিনী এবার যা করার করবে। এমনকী মাওবাদীদের ঘরে ঢুকে খতম করার কথাও শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। সতীর্থদের মৃত্যুতে বাহিনীর অন্য জওয়ানরা যে মাওবাদীদের জবাব দেওয়ার জন্য ফুঁসছে তা স্পষ্ট। এরই মধ্যে প্রত্যুত্তর দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আর তাই আজ সিআরপিএফ কর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার অসমের নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচী কাটছাঁট করে নয়াদিল্লিতে ফিরেছিলেন তিনি। রাজধানীতে বসেই তিনি জানিয়েছিলেন, মাওবাদীদের হামলার কড়া জবাব দেওয়া হবে। এরপরই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে ২৩ মার্চ ছত্তীসগড়ে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল মাওবাদীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। সেই হামলায় পাঁচজন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। অমিত শাহ সেবার বলেছিলেন, শহিদের আত্মদান বৃথা যাবে না। তবে এবারের মাওবাদী হামলা ভয়ানক। নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছিল, প্রায় ৭০০ মাওবাদী তাদের ঘিরে হামলা চালিয়েছে। পাল্টা লড়েছে বাহিনীও। তবে গুলির লড়াইয়ে ২২ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত ৩১ জন।