#নয়াদিল্লি: অন্তত শক্তি, সাহস আর জেদের নিরিখে তাঁকে তরুণী সম্বোধন করা যেতেই পারে। তবে এ ক্ষেত্রে তরুণীর বয়স মাত্র বিরাশি! খবর বলছে যে চিরাগ চোরদিয়া পেশায় একজন জিম প্রশিক্ষক। সম্প্রতি তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করেছেন একটি ভিডিও। যেখানে চিরাগের ঠাকুমাকে দেখা যাচ্ছে ওজন তুলতে এবং স্কোয়াট করতে। বয়স্ক মানুষরা যেখানে বয়সের ভারে নুব্জ্য হয়ে যান, সেখানে ইনি যা কাণ্ড করেছেন, তা দেখে নেটিজেনদের চোখ কপালে উঠে গিয়েছে!
তবে এই সাফল্য এসেছে অনেক কষ্ট করে। চিরাগের ঠাকুমা ছোটবেলা থেকেই শরীরচর্চা নিয়ে খুব সক্রিয় ছিলেন। বিয়ের পরেও তিনি শরীরচর্চার অভ্যেস ছাড়তে পারেননি। কিন্তু পর পর দুই ঘটনা তাঁকে শয্যাশায়ী করে দেয়। প্রথমবার তিনি চোট পান গোড়ালিতে। আর দ্বিতীয়বার চোট পান খাট থেকে পড়ে গিয়ে। উনি ভেবেছিলেন শেষের কয়েকটা দিন বোধ হয় তাঁকে এই ভাবেই বিছানায় পড়ে থাকতে হবে।
https://www.instagram.com/p/CGARIITjsvh/?utm_source=ig_web_copy_link
এ দিকে যে ঠাকুমা সারাক্ষণ কাজ করতেন এবং শরীরচর্চা করতেন, তাঁকে শুয়ে থাকতে দেখে মোটেই ভালো লাগত না চিরাগের। একজন জিম প্রশিক্ষক হিসেবে তিনিই তাই ঠাকুমার দায়িত্ব নিলেন।
যে সব মানুষরা সারাক্ষণ কাজের মধ্যে থাকেন, তাঁরা কখনওই অন্যের উপরে নির্ভরশীল হতে চান না। তাঁরা নিজেদের কাজ নিজে করতেই পছন্দ করেন। আর ঠাকুমাও তাই চাইতেন। চিরাগ তাই প্রথমে তাঁকে জলের বোতল তোলা ও নামানো অভ্যেস করান। তার পর ধীরে ধীরে ওয়েট ট্রেনিং দেওয়া শুরু করেন। দেখা যায় যে ঠাকুমার পায়ের ফোলা ভাব অনেকটাই কমে গিয়েছে আর তিনি হাতের জোরও ফিরে পেয়েছেন।
এ ভাবেই টানা তিন মাস প্রশিক্ষণের পর ঠাকুমা আবার নিজের পায়ে উঠে দাঁড়ালেন। তাঁর মতে, তিনি যেন নতুন করে জীবন খুঁজে পেলেন। বয়স বিরাশি তো কী হয়েছে? ঠাকুমার মন এখনও সজীব আর তরুণ আছে। তাই তিনি নির্দ্বিধায় ওজন তোলেন, স্কোয়াট করেন, ডাম্বল নিয়ে লোফালুফিও করেন। মনে এবং প্রাণে তিনি এটাই বিশ্বাস করেন যে বয়স একটা সংখ্যা বই আর কিছুই নয়!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Weight Lifting