হোম /খবর /দেশ /
মাস্টারমাইন্ড সুকন্যা, অনুব্রত কন্যার বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডি-র!

Sukanya Mondal: মাস্টারমাইন্ড সুকন্যা, অনুব্রত কন্যার বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক দাবি ইডি-র! কী অভিযোগ?

সুকন্যার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডি-র৷

সুকন্যার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডি-র৷

যথারীতি এই সমস্ত অভিযোগ  মানতে চাননি সুকন্যার আইনজীবী অমিত কুমার।  আদালতে তাঁর সওয়াল ছিল, গরু পাচার মামলায় সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে ইডি।

  • Share this:

রাজীব চক্রবর্তী: গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা, সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আজ দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রঘুবীর সিং।

ইডির আইনজীবী নীতেশ রানা আদালতে বলেন, গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল যে বিপুল অঙ্কের টাকা তছরূপ করেছেন, সেই তছরূপ প্রক্রিয়ায় মাস্টারমাইন্ড ছিলেন দু’জন৷ একজন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি এবং দ্বিতীয়জন অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল।

যথারীতি এই সমস্ত অভিযোগ  মানতে চাননি সুকন্যার আইনজীবী অমিত কুমার।  আদালতে তাঁর সওয়াল ছিল, গরু পাচার মামলায় সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে ইডি। তাই তাঁকে আর হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া একই মামলায় অন্যান্য কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করেই জামিন দেওয়া হয়েছে। অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। পাশাপাশি সুকন্যার কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। চলতি মাসেই অস্ত্রোপচারের কথা রয়েছে। তাই জামিন দেওয়া হোক।

অন্যদিকে, ইডির আইনজীবী নীতেশ রানা সওয়াল করেন, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুকন্যা। গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দোষ প্রমাণ হলে কঠিন শাস্তি হবে। তাই জামিন দেওয়া উচিত হবে না। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রঘুবীর সিং ১ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের ৯ মাস পর ইডির হাতে গ্রেফতার হন তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। দিল্লির ইডি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমবার তাঁক আদালতে তোলা হলে ৩ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তিন দিনের সেই মেয়াদ শেষ হবার পর আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন সুকন্যা।

ইডি সূত্রে খবর, বারংবার জেরার মুখে পড়ে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলতেন সুকন্যা। অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তরই তিনি এড়িয়ে যেতেন। সুকন্যার দাবি ছিল, বাবার আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। তাঁর মুখে  একটাই কথা ছিল, বাবার সঙ্গে দেখা করতে চাই ! এখন বাবা মেয়ে দু’ জনেই রয়েছেন তিহাড় জেলে। গত পরশুদিনই অনুব্রত এবং সুকন্যা মণ্ডলের নামে থাকা যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকাও ফ্রিজ করে দিয়েছে ইডি৷

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Anubrata Mondal, ED, Sukanya Mondal