Rajasthan News: প্রবল মাথাব্যথা হোক বা গা-হাত-পায়ের কষ্ট, দেবীর শরণে জীবন থেকে যন্ত্রণা শব্দটাই চলে যায়!

Last Updated:

Rajasthan News: শারীরিক থেকে মানসিক, কষ্ট যে রকমই হোক না কেন, তা তাঁর বরাভয়ে দূর হয়। বিশেষ করে আরোগ্য মেলে জটিল মাথাব্যথা বা গা-হাত-পায়ের ব্যথা থেকে।

নাগৌরের কুমহার বা প্রজাপত গোষ্ঠীর আরাধ্যা দেবী এই ইয়াদিন মাতা
নাগৌরের কুমহার বা প্রজাপত গোষ্ঠীর আরাধ্যা দেবী এই ইয়াদিন মাতা
নাগৌর : দেবদেবীর শরণ তো নেওয়া সেই জন্যেই, যাতে তাঁর প্রসাদে জীবনের সব কষ্ট অন্তর্হিত হয়। মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ না রেখে ঈশ্বরের চরণে নিজেকে নিবেদন করলে মনের কষ্ট কিছুটা লাঘব হয় বটে। কিন্তু শারীরিক কষ্টও যে দৈবী প্রভাবে মিলিয়ে যায়, তার প্রমাণ নিয়ে সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজস্থানের নাগৌর জেলার ইয়াদিন মাতার মন্দির।
দেশের অন্যত্রের মতো রাজস্থানেও নানা লৌকিক দেব-দেবীর দর্শন মেলে আমাদের। নাগৌরের কুমহার বা প্রজাপত গোষ্ঠীর আরাধ্যা দেবী এই ইয়াদিন মাতা। বলা হয়, শারীরিক থেকে মানসিক, কষ্ট যে রকমই হোক না কেন, তা তাঁর বরাভয়ে দূর হয়। বিশেষ করে আরোগ্য মেলে জটিল মাথাব্যথা বা গা-হাত-পায়ের ব্যথা থেকে।
ইয়াদিন মাতার কাহিনী নিউজ১৮-কে জানিয়েছেন মন্দিরের পুরোহিত সীতারাম। সত্যযুগে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ইন্দাব্রতে জলন্ধরজির গৃহে। জলন্ধর তাঁর এই সুকন্যাকে সমর্পণ করেন গড় মুলতানের সাওয়ান্তের হাতে। এই গড় মুলতান ছিল হিরণ্যকশিপুর রাজধানী, সেখানে দেবতার আরাধনা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু ইয়াদিন মাতা এবং সাওয়ান্তজি গোপনে মাটির মূর্তি গড়ে প্রভু বিষ্ণুর আরাধনা করতেন।
advertisement
advertisement
বলা হয় যে, জন্মের পর মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত ছিল ভক্ত প্রহ্লাদ। টানা ৭ দিনেও যখন সে মাতৃস্তন্য পান করল না, তখন হিরণ্যকশিপু পুত্রের জন্য ধাত্রী নিয়োগের আদেশ দিলেন। সেই সময়ে এগিয়ে আসেন পুণ্যবতী মাতা ইয়াদিন, তাঁর স্তন্যদুগ্ধে জীবন পায় প্রহ্লাদ। বলা হয়, এভাবেই প্রথম পর্বে ইয়াদিন মাতার বিষ্ণুভক্তি সঞ্চারিত হয়েছিল প্রহ্লাদের মধ্যে।
advertisement
এর পর একদিন প্রহ্লাদ এক অবিশ্বাস্য ঘটনা দেখে। দাসীর অন্যমনস্কতায় এক বিড়াল দুধের পাত্রে পড়ে গিয়ে মারা যায়, ইয়াদিন মাতা হরি নাম উচ্চারণ করে তাকে জীবন ফিরিয়ে দেন। বিড়াল যেমন প্রাণ পায়, তেমনই প্রভুর নামের মাহাত্ম্যে দুধেরও স্বাদ যায় বেড়ে। এর পরেই সরাসরি বিষ্ণুভক্ত হয়ে পড়ে প্রহ্লাদ, হরি নাম তার মুখে লেগে থাকে।
advertisement
পুরোহিত জানিয়েছেন যে ইতিপূর্বে কেবল এই পুণ্যস্থলে এসে দেবীর বিগ্রহের আরাধনা করে যেতেন ভক্তেরা। ২০১১ সালে স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবীর মন্দির নির্মাণ করে দেন মাঙ্গারাম প্রজাপত।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Rajasthan News: প্রবল মাথাব্যথা হোক বা গা-হাত-পায়ের কষ্ট, দেবীর শরণে জীবন থেকে যন্ত্রণা শব্দটাই চলে যায়!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement