Illicit Love: জালিয়াতিতে আটক কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে স্ত্রীকে ছেড়ে বিবাহিত প্রেমিকা সাব ইন্সপেক্টরের সঙ্গে চম্পট পুলিশকর্তার! যুগলে চুটিয়ে বেড়ালেন গোয়া-মানালি-কাশ্মীর!

Last Updated:

Illicit Love:২ কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে তাঁর বান্ধবী, আর এক সাব ইন্সপেক্টরের সঙ্গে বেড়াতে চলে যান৷ দু’জনে চুটিয়ে ছুটি কাটান গোয়া, মানালি, কাশ্মীরে৷ ওই দুই বিবাহিত সাব ইন্সপেক্টর নকল পরিচয়ের আড়ালে নতুন জীবন শুরু করতে চেয়েছিলেন৷ অবশেষে সেই ছক বানচাল করেছে দিল্লি পুলিশ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
নয়াদিল্লি : সর্ষের মধ্যেই ভূত বা ঘোগের ঘরে বাঘের বাসা৷ নানাভাবে বলা যায় এই দিল্লি পুলিশের এক সাব ইনস্পেক্টরের এই কাণ্ডকে৷ একাধিক সাইবার ফ্রড মামলা ফাঁস করে মোটা অঙ্কের টাকা তাঁর হাতে আসে৷ বাজেয়াপ্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আটক সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার বদলে অন্য কাজে লাগান৷ উর্বর মস্তিষ্কে তৈরি হয় দারুণ পরিকল্পনা৷ অভিযোগ, ২ কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে তাঁর বান্ধবী, আর এক সাব ইন্সপেক্টরের সঙ্গে বেড়াতে চলে যান৷ দু’জনে চুটিয়ে ছুটি কাটান গোয়া, মানালি, কাশ্মীরে৷ ওই দুই বিবাহিত সাব ইন্সপেক্টর নকল পরিচয়ের আড়ালে নতুন জীবন শুরু করতে চেয়েছিলেন৷ অবশেষে সেই ছক বানচাল করেছে দিল্লি পুলিশ৷
দিল্লির সাইবার থানায় কর্মরত এস আই অঙ্কুর মালিক আটক হওয়া কোটি কোটি টাকা পাঠিয়ে দেয় নিজের পরিচিতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে৷ এর পরই ২০২১ সালের ব্যাচের এস আই অঙ্কুর সাত দিনের ছুটি নেন অসুস্থতার কারণে৷ একই সময়ে ছুটি ওই ব্যাচের সাব ইন্সপেক্টর নেহা পুনিয়া৷ তিনি সে সময় কর্মরত ছিলেন জিটিবি এনক্লেভ থানায়৷ দু’জনের খোঁজে মিসিং রিপোর্ট দায়ের করা হয়৷
advertisement
প্রসঙ্গত অঙ্কুর এবং নেহা দু’জনেই ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। অঙ্কুরের স্ত্রী উত্তরপ্রদেশের বারাউতে থাকেন এবং নেহার স্বামী দিল্লির রোহিণী এলাকায় থাকেন। তদন্ত অনুযায়ী, ২০২১ সালে পুলিশ প্রশিক্ষণের সময় তাঁদের দু’জনের বন্ধুত্ব হয়। আর পুলিশ দাবি করেছে যে জালিয়াতির পরিকল্পনা সেখানেই করা হয়েছিল। তদন্তকারী আধিকারিকরা নিখোঁজ সাব-ইন্সপেক্টরদের খুঁজে বের করার জন্য প্রযুক্তিগত নজরদারি এবং গোয়েন্দাদের তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতির উপর ভরসা করেছিলেন। অবশেষে ইনদওরে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় এবং চার মাস অনুসন্ধানের পর গ্রেফতার করা হয়।
advertisement
advertisement
অভিযুক্তদের কাছ থেকে পুলিশ এক কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সোনা, নগদ ১২ লক্ষ টাকা, ১১টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, তিনটি এটিএম কার্ড এবং অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারণার টাকা দিয়ে তাঁরা সোনা কিনেছিলেন যাতে টাকা সহজেই বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাজে লাগানো যায়। এই ঘটনায় আরও তিনজন – মোহাম্মদ ইলিয়াস, আফি ওরফে মনু এবং শাদাব – যাঁদের অ্যাকাউন্টে চুরি যাওয়া টাকা স্থানান্তর করা হয়েছিল, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করে গর্তে পুঁতে টাইলস দিয়ে ঢেকে শিঙাড়া কিনল ঘাতক স্ত্রী!
পুলিশের মতে, অঙ্কুর মালিক জানতেন যে কেউ আটক টাকা দাবি করবে না, তাই তিনি জাল নথি জমা দিয়ে আদালত থেকে ওই টাকা ছাড়িয়ে হস্তগত করেন এবং তার পর পালিয়ে যান। এই টাকা দিয়ে তিনি বান্ধবীর সঙ্গে গোয়া, মানালি এবং কাশ্মীরের মতো পর্যটনের জায়গায়ও গিয়েছিলেন, পুলিশ জানিয়েছে। পরে ইনদওরে পৌঁছনোর পর, সেই নগদের বিনিময়ে তাঁরা সোনা কিনেছিলেন, ফলে ট্র্যাকিং করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, জাল পরিচয়পত্র তৈরি করে মধ্যপ্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় নতুন জীবন শুরু করা। এই জালিয়াতির সঙ্গে আর কে জড়িত ছিল, তা জানতে ধৃত জুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Illicit Love: জালিয়াতিতে আটক কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে স্ত্রীকে ছেড়ে বিবাহিত প্রেমিকা সাব ইন্সপেক্টরের সঙ্গে চম্পট পুলিশকর্তার! যুগলে চুটিয়ে বেড়ালেন গোয়া-মানালি-কাশ্মীর!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement