#কলকাতা: বাইরে মুষলধারা। তাই বাড়িতেই মজুত করে রাখছেন সারা মাসের চাল, ডাল, আটা। সেসব দিয়েই রান্না হচ্ছে রোজের খাবার। কিন্তু এতে অজান্তেই বিষ ঢুকছে না তো শরীরে? বিশেষজ্ঞদের কিন্তু তেমনই আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: ‘কলকাতাতে যাবই, পারলে গ্রেফতার করুন’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের
দিনভর বৃষ্টি। তাই অনেকেই সারা মাসের বাজার একবারে করে ফেলছেন। আর তা করতে গিয়েই কি বড়সড় বিপদ ডেকে আনছেন?
বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ খুব বেশি থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জেরে বিষক্রিয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। কারণ, বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে অ্যাসপারগিলাফ ফ্লেভাস নামে এক ধরনের ফাঙ্গাস থেকে তৈরি হয় আফলাটক্সিন। যা জমা হয় খাদ্যপণ্যে। এই আফলাটক্সিনই মানবদেহের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। বর্ষাকালে ঘরে বা দোকানে মজুত চাল, ডাল, আটায় যে সাদাটে বা ধূসর রঙের পদার্থ জমা হতে দেখা যায়, যাকে অনেকে বলেন, ছাতা পড়েছে, সেটাই আসলে বিষাক্ত আফলাটক্সিন।
আরও পড়ুন: অসম NRC: নামের পাশে লালকালি, বিয়ের ভাঙার আশঙ্কায় ভীত কোচবিহার!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আফলাটক্সিন যুক্ত খাবার দিনের পর দিন খেলে জিনগত নানা অসুখ এমনকি ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। এর হাত থেকে বাঁচতে দাওয়াই - সিলিকা জেল।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, খাদ্যদ্রব্যের পাত্রের ভিতর একটি ছোট কৌটোয় খানিকটা সিলিকা জেল রেখে দিলে আফলাটক্সিন তৈরির প্রবণতা কমে যায়। কারণ, সিলিকা জেল পাত্রের ভিতরের আর্দ্রতা শুষে নেয়।
আরও পড়ুন: IN PICS: মুঙ্গেরে ২২৫ ফুট কুয়োয় পড়ে গেল ৩ বছরের শিশু, চলছে উদ্ধারকাজ
তবে এই সিলিকা জেলের ব্যবহার অধিকাংশ মানুষেরই অজানা।
দুশো ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তিরিশ মিনিট ধরে পোড়ালে তবেই আফলাটক্সিনকে নষ্ট করা সম্ভব। কিন্তু তাতে তো খাদ্যপণ্য নষ্ট হয়ে যাবে। তাই বড় ভরসা হয়ে উঠতে পারে সিলিকা জেল। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
প্রতিবেদন: সুশোভন ভট্টাচার্য
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cancer, Damp Groceries