#নয়াদিল্লি: দলের টিকিট পেলেই ফাইভ স্টার হোটেলে থাকছেন কংগ্রেস নেতা এবং প্রার্থীরা৷ এসি গাড়ি ছাড়া বাইরে বেরোনা না তাঁরা৷ নিচু স্তরে নেতাদের এ ভাবে জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলই কংগ্রেস নির্বাচনে ভোগ করছে বলে সমালোচনায় সরব হলেন দলের অন্যতম প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ৷ বিহার ভোটে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের পর প্রথমে সরব হয়েছিলেন দলের আর এক সিনিয়র নেতা কপিল সিবাল৷ এবার সেই পথেই হাঁটলেন গুলাম নবি আজাদও৷
তবে এই প্রথম নয়, কয়েকমাস আগেও দলের নেতৃত্বে বদল চেয়ে সরব হয়েছিলেন সিবাল- আজাদরা৷ এবার অবশ্য নেতৃত্বকে দোষ না দিয়ে নিচু স্তরের নেতাদেরই কাঠগড়ায় তুলেছেন আজাদ৷
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেছেন, 'আমাদের নেতাদের সমস্যা হল টিকিট পেলেই প্রথমে তাঁরা কোনও ফাইভ স্টার হোটেলে একটি ঘর বুক করেন৷ সেখানেও সবথেকে বিলাসবহুল জায়গা খোঁজেন তাঁরা৷ এর পর এসি গাড়ি না পেলে তাঁরা বাইরে যান না৷ যে এলাকায় ভাঙাচোড়া রাস্তায়, সেখানেও যেতে চান না তাঁরা৷'
হতাশ কংগ্রেস নেতা বলেছেন, 'ফাইভ স্টার হোটেলে থেকে নির্বাচনে লড়া যায় না৷ এই সংস্কৃতি না বদলালে আমাদের ভাল ফল করা মুশকিল৷'
সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে খারাপ ফলের জন্য অনেকেই কংগ্রেস নেতৃত্বকে দোষারোপ করছেন৷ গুলাম নবি আজাদ অবশ্য সেই পথে হাঁটেননি৷ বরং স্থানীয় স্তরের নেতা এবং নিচু স্তরের পদাধিকারীদেরই দায়ী করছেন তিনি৷ আজাদ বলেছেন, 'ব্লক বা জেলা স্তরের নেতারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন৷ যেই তাঁরা কোনও পদ পান, সঙ্গে সঙ্গে লেটার প্যাড আর ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে নেন তাঁরা৷ এটুকু করেই তাঁরা ভাবেন কাজ শেষ৷ কিন্তু আসলে এখান থেকেই তাঁদের কাজ শুরু করতে হবে৷'
শীর্ষ নেতৃত্বে যে সমস্যা নেই তা বোঝাতে গুলাম নবি আজাদ মনে করিয়ে দিয়েছেন, সনিয়া গাঁধির নেতৃত্বেই চার থেকে পাঁচ বছরের ব্যবধানে পাঁচটি রাজ্যে জিতেছিল কংগ্রেস৷ সেই সময় তিনিই নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের এই কংগ্রেস নেতা৷ দলের কাঠামোতেও বদল আনার প্রস্তাব দিয়েছেন আজাদ৷ তাঁর পরামর্শ, মানুষের সঙ্গে একেবারে নিচুস্তরে যোগাযোগ গড়ে তুলতে গেলে সুপারিশের বদলে নির্বাচনের মাধ্যমে পদাধিকারীদের নিয়োগ করতে হবে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Congress, Ghulam Nabi Azad