#নয়াদিল্লি : জাতীয় রাজনীতিতে আবার নতুন করে সামনে এল যুদ্ধবিমান রাফাল। রাফাল দুর্নীতি নিয়ে নতুন করে কাদা ছোঁড়াছুড়ি শুরু হয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি’র মধ্যে। বিদেশি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টের উল্লেখ করে কংগ্রেসের দাবি, মোদি জমানার রাফেল চুক্তি এযাবৎ সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা কেলেঙ্কারি। বিজেপি’র বক্তব্য, কংগ্রেস মানে কাটমানি।
কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর বিজেপি’র এক প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এক প্রবীন আইনজীবী তৎকালীন সিবিআই নির্দেশককে নথি দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর মরিশাস সরকারও সিবিআই-কে নথি দিয়েছিল। তারপরেও কোনও তদন্ত শুরু হয়নি। তারপর মাঝরাতে সিবিআই নির্দেশক অলোক বর্মাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নিজেদের পছন্দের নাগেশ্বর রাওকে নির্দেশক পদে বসানো হয়। তারপর ৩৬ মাসেও কোনও পদক্ষেপ হল না কেন? এটা কোনও ৬০-৬৫ কোটির কেলেঙ্কারি নয়। বরং সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা কেলেঙ্কারি। কংগ্রেস-ইউপিএ সরকার আন্তর্জাতিক দরপত্রের পর ৫২৬.১০ কোটি টাকার প্রযুক্তি হস্তান্তর-সহ এক একটি রাফেল যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে আলোচনা চালিয়েছিল। নরেন্দ্র মোদি সরকার সেই একই রাফেল যুদ্ধবিমান ১৬৭০ কোটি টাকায় কিনেছে। শুধু তাই নয়, প্রযুক্তিগত সহায়তা হস্তান্তর ছাড়াই ৩৬টি রাফাল কিনেছে। যা ইউপিএ আমলের তুলনায় ৪১,২০৫ কোটি টাকা বেশি।
মোদি সরকারের উদ্দেশে কংগ্রেসের প্রশ্ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর ছাড়াই কেন ৩৬টি রাফেল বিমান কিনতে অতিরিক্ত ৪১,২০৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হল? কে ঘুষ দিয়েছেন? টাকা কার পকেটে ঢুকেছে? ১২৬টি বিমান কেনার জন্য যেখানে আন্তর্জাতিক অনলাইন দরপত্র ছিল, সেখানে একতরফা ভাবে কেন ৩৬টি বিমান কেনা হল?
আরও পড়ুন-গঙ্গা থেকে উঠে এল রাক্ষুসে কুমীর, অবর্ণনীয় অভিজ্ঞতা এই ঘাটে
কংগ্রেসের এই অভিযোগের পরেই পাল্টা তোপ দাগে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘২০১৩ সালের আগে রাফাল চুক্তির জন্য ৬৫ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। অতএব কারা ঘুষ দিয়ে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনে সেটা স্পষ্ট হচ্ছে। ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে এই ঘুষ দেওয়া হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেছেন, কমিশন না নিয়ে কিছুই করে না কংগ্রেস। কমিশনের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে কংগ্রেস।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।