#বীরভূম: বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে এবার তাঁর গ্রাম, অর্থাৎ, বগটুইয়ে গেলেন সিআইডির তদন্তকারীরা। লালনের পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী রেশমা বিবির সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন বলে খবর।
এদিন, লালন শেখের বাড়িতে গিয়েছিলেন ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসার, ছিলেন লালন শেখের মৃত্য়ুর ঘটনার সিআইডির তদন্তকারী অফিসার ও রামপুরহাট থানার তদন্তকারী অফিসার।
সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসারের প্রত্যেকেই এদিন লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবির সঙ্গে বিশদে কথা বলেন। ইতিমধ্যেই, স্বামীর মৃত্যু নিয়ে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন লালনের স্ত্রী। অভিযোগ পত্রে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। রেশমার অভিযোগ, তাঁর স্বামীর মুখ দিয়ে বড় কোনও নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আদালতের লক-আপে কাঁদতে কাঁদতে নাকি স্ত্রীকে এই কথা জানিয়েছিলেন লালন।
এছাড়াও, রেশমা বিবির দাবি, হার্ডডিস্ক খোঁজার জন্য লালনের অপর একটিু বাড়িতেও নাকি তল্লাশি চালিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তখন নাকি, 'নয় হার্ডডিস্ক, অথবা, ৫০ লক্ষ টাকা' দাবি করা হয় রেশমা বিবিদের কাছে। এমনকি, সেই সময় নাকি লালনকে মারধরও করা হয়। দাবি, তাঁর স্ত্রীর।
গত সোমবার, বগটুইয়ে ঠিক কী হয়েছিল? অভিযোগ পত্রে রেশমা বিবি যা দাবি করেছেন, তার সারবত্তা কী? সূত্রের খবর, এদিন লালনের স্ত্রীয়ের কাছে এই সমস্ত কিছুই জানতে চান সিআইডি তদন্তকারীরা।
গত ১২ ডিসেম্বর, সন্ধেবেলা রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্য়াম্পের শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় লালন শেখের দেহ। ওই দিনই তাঁকে নিয়ে বগটুই গ্রামে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। পরের দিনই লালন-সহ আরেক জনের হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল আদালতে। এর মাঝেই লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্য়ু। সিবিআইয়ের দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন লালন। যদিও লালনের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবারই বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত, তথা লালনের মৃত্যুর সময় সিবিআই ক্য়াম্পে উপস্থিত থাকা জাহাঙ্গির শেখকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। এছাড়া, সিআইডির তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলেও গিয়েও সব কিছু সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। তারপরে শুক্রবার গেলেন বগটুইয়ে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bogtui, Bogtui case, CBI, CID