চেনাব ব্রিজ নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা, তৃণমূলের অভিযোগ তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃতিত্বকে বেমালুম চেপে গিয়েছে বিজেপি সরকাল

Last Updated:

তৎকালীন রেল মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার কৃতিত্বকে অস্বীকার করা যাবে না, এই মর্মে ছবি ও বিভিন্ন সংসদীয় তথ্য তুলে ধরে প্রচারে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। যা ঘিরে ফের শুরু রাজনৈতিক তরজা।

News18
News18
নয়াদিল্লি: সদ্য উদ্বোধন হয়েছে বিশ্বের বিস্ময় চেনাব রেল সেতুর। এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা শুরু হয়েছিল ইউপিএ আমলে। তৎকালীন রেল মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার কৃতিত্বকে অস্বীকার করা যাবে না, এই মর্মে ছবি ও বিভিন্ন সংসদীয় তথ্য তুলে ধরে প্রচারে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। যা ঘিরে ফের শুরু রাজনৈতিক তরজা।
যে সমস্ত বিষয় তৃণমূল কংগ্রেস তুলে ধরেছে তা হল, ১. ঐতিহাসিক এই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২. এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করেছেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
৩. অনন্তনাগ থেকে কাজিগুন্ড (২০০৯) সেকশনের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৪. ২০১০ সালে কাটরা-কাজিগুন্ড সেকশনের পর্যালোচনা করে পুরোদমে কাজ শুরুর অনুমোদন দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
৫. চেনাব রেলসেতু তৈরির ক্ষেত্রে ব্যাপক জোর দিয়েছেন এবং তাকে নতুন জীবন দিয়েছেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৬. ২০০৯ সালে কাটরা-কাজিগুন্ড সেকশনের উদ্বোধন এবং বিশেষজ্ঞ কমিটি পাঠিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
তৃণমূল কংগ্রেস উল্লেখ করেছে, এই রেল প্রকল্পের ঘোষণা ১৪ বছর আগে, ২০০৯ সালেই করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণায় দেশবাসী জানতে পেরেছিলেন ওই দুর্গম এলাকায় চেনাব নদীর ওপর রেলসেতুর কথা। তথ্য ও প্রমাণ তাই বলছে। শুধু ঘোষণা করাই নয়, ২০০৯-২০১০ এবং ২০১০-২০১১ এর রেল বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৯ সালে কাটরা-কাজিগুন্ড বিভাগের পরিচালনার কাজ শুরু হয় এবং প্রকল্পের ঘোষণা করেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কাজ শেষও হয়। ২০১০ সালের রেলের বাজেট বক্তৃতায় কাজটির পর্যালোচনার পর অনুমোদন করেন তিনি। এরপর ২০১১ সালে ফের রেল বাজেট বক্তৃতায় জম্মু ও কাশ্মীরের ব্রিজ ফ্যাক্টরি এবং জম্মুতে ইনস্টিটিউট ফর টানেল অ্যান্ড ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং তৈরির কথা ঘোষণা করেন। কারণ বিচক্ষণ রেলমন্ত্রী হিসেবে সেইসময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপলব্ধি করেছিলেন যে ওই জায়গায় এই রেল প্রোজেক্টের কাজ করতে গেলে টানেল তৈরির প্রয়োজন রয়েছে।
advertisement
ফাইল ফোটো
ফাইল ফোটো
দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিজেপি সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন সরকার এবং রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম পর্যন্ত উল্লেখ করেননি এবং এই রেল প্রকল্প যে আগে ঘোষণা করা হয়েছে এবং বাজেট বরাদ্দ হয়েছিল সে-কথাও বেমালুম চেপে গিয়েছেন, বলে অভিযোগ কুণাল ঘোষ, সাগরিকা ঘোষ ও ডেরেক ও ্ব্রায়ানের।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
চেনাব ব্রিজ নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা, তৃণমূলের অভিযোগ তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃতিত্বকে বেমালুম চেপে গিয়েছে বিজেপি সরকাল
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement