আইনস্টাইন তত্ত্ব প্রমাণিত, ব্যাকহোলের সংঘর্ষেই মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গের জন্ম

Last Updated:

আইনস্টাইন তত্ত্বে আধুনিক বিজ্ঞানের সিলমোহর। ব্ল্যাকহোলে মাধ্যাকর্ষণের উপস্থিতির প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা। মাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের গবেষণা জানাল, ১০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে ২টি ব্যাকহোলের সংঘর্ষে মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। ১০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে এই সংঘর্ষ হয়। ১০০ বছর আগেই যা জানিয়েছিল আইনস্টাইনের তত্ত্ব।

#নয়াদিল্লি:  আইনস্টাইন তত্ত্বে আধুনিক বিজ্ঞানের সিলমোহর। ব্ল্যাকহোলে মাধ্যাকর্ষণের উপস্থিতির প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা। মাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের গবেষণা জানাল, ১০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে ২টি ব্যাকহোলের সংঘর্ষে মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। ১০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে এই সংঘর্ষ হয়। ১০০ বছর আগেই যা জানিয়েছিল আইনস্টাইনের তত্ত্ব। পুণে সহ বিশ্বের তিনটি শহর থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে এই সাফল্যের কথা জানিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীের ঘোষণা, এটাই সাম্প্রতিক কালে বিজ্ঞানের সেরা আবিস্কার।
১০০ বছর ধরে বহু গবেষণা, তর্ক বিতর্ক। অবশেষে খোঁজ মিলল তাঁর। ধরা দিল মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। এর খোঁজ পাওয়ার পরই বোঝা গেল, একেবারে সঠিক ছিলেন আইনস্টাইন। কণা সৃষ্টির ইতিহাস থেকে জীবনের স্পন্দন - ব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি আবিস্কারের খোঁজ দিয়েছিলেন তিনি। হিগস বোসন কনা কিংবা ঈশ্বর কণার অস্তিত্ব নিয়েও ১০০ শতাংশ নিখুঁত ছিল ইহুদী বিজ্ঞানীর তত্ত্ব। কণার সৃষ্টি থেকে তাঁর ধ্বংস - সবটাই নিজের তত্ত্বে নিখুঁত তুলে ধরেছিলেন তিনি।
advertisement
কেন আইনস্টাইন ঠিক এবং নিউটন ভুল ছিলেন ?
advertisement
নিউটনের মতে , মহাকর্ষ হল দুটি বস্তুর মধ্যে অদৃশ্য টান ৷ তাঁর তত্ত্বে তরঙ্গের অস্তিত্ব নেই ৷ আইনস্টাইনের মতে, মহাকর্ষ কোনও টানাটানি নয়, স্রেফ স্পেসের কাঠামো বদল ৷ তাই বস্তু নড়াচড়া করলে কাঠামো কাঁপবেই ৷ নিউটন মহাকর্ষ-তরঙ্গের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারেননি, আইনস্টাইন পেরেছিলেন ৷
advertisement
gravity-waves-head-640x354
মহাকর্ষীয় তরঙ্গই এতদিন নীরবে লিখে গিয়েছে ব্রহ্মাণ্ডের ইতিহাস। মহাকাশে বা ব্রহ্মাণ্ডে কোনও কিছু ধ্বংস হলে নিউট্রন, ব্ল্যাক হোল বা ভারী কিছু সৃষ্টি হতে পারে। আইনস্টাইনের তত্ত্ব বলছে, ধ্বংস হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার পুর্নবণ্টন হয়। এতে তার আশেপাশের মহাকর্ষ অনেকটাই বদলে যায়।
advertisement
মহাবিশ্বে ধ্বংসের পর যখন নতুন করে ওই জায়গা থেকে কিছু তৈরি হয়, তখন ভরের পরিবর্তনের ফলে তারা আশপাশের সবকিছুকে বিকৃত করে দেয়। তা থেকেও তৈরি হয় নতুন কিছু। ব্ল্যাকহোলের মধ্যে মাধ্যাকর্ষীয় তরঙ্গ তৈরি হলে ব্ল্যাক হোল আর তারাদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়।
এই আবিস্কার থেকে ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির সময় তার স্বরূপ স্পষ্ট হবে। একের পর এক ধ্বংসের পর কীভাবে নতুন করে মহাকর্ষে সেখানে নতুন কিছুর জন্ম হল, তা স্পষ্ট হবে। মহাশূন্যে শব্দ শোনা যায় না বলে আমরা ধ্বংসের শব্দ শুনতে পাই না। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সেই অভাব পুষিয়ে দেবে। প্রাণের অস্তিত্ব, ব্রহ্মাণ্ডে নতুন কণার জন্ম - সবকিছুই স্পষ্ট হবে ৷
advertisement
বিশ্বজুড়ে পদার্থবিজ্ঞানীদের উল্লাসের ভাগীদার এদিন হলেন ভারতীয় গবেষকেরাও। পরোক্ষে নয়, প্রত্যক্ষ ভাবে। ওয়াশিংটনের ওই সাংবাদিক বৈঠক সরাসরি দেখানো হয়েছে এদেশের ‘ইন্টার ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (আইইউসিএএ)’-র চন্দ্রশেখর অডিটোরিয়ামে। ওয়াশিংটনে ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই দিল্লি থেকে  ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্ববিজ্ঞানের ওই সাফল্যকে অভিনন্দন তো জানালেন। সঙ্গে সঙ্গেও এ-ও বললেন, ‘‘এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা যুক্ত ছিলেন। এটি আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আশা করি, মহাকর্ষ-তরঙ্গ শনাক্ত করার জন্য উন্নতমানের যন্ত্র বানিয়ে এই কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন আমাদের বিজ্ঞানীরা।’’
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
আইনস্টাইন তত্ত্ব প্রমাণিত, ব্যাকহোলের সংঘর্ষেই মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গের জন্ম
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement