মহিলা প্রকল্পের টাকা ঢুকে গেল পুরুষের অ্যাকাউন্টে! টাকা ফেরত চাইতেই রেগে লাল বিহারের গ্রামবাসী

Last Updated:

যান্ত্রিক গোলযোগে মহা ফাঁপড়ে পড়েছে বিহার। নির্বাচনের আগে মহিলা কেন্দ্রিক প্রকল্পে ওই রাজ্যের প্রতি মহিলাকে বার্ষিক ১০ হাজার টাকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। যান্ত্রিক গোলযোগে বেশ কিছু পুরুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায় সেই টাকা।

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
দ্বারভাঙ্গা: যান্ত্রিক গোলযোগে মহা ফাঁপড়ে পড়েছে বিহার। নির্বাচনের আগে মহিলা কেন্দ্রিক প্রকল্পে ওই রাজ্যের প্রতি মহিলাকে বার্ষিক ১০ হাজার টাকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। যান্ত্রিক গোলযোগে বেশ কিছু পুরুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায় সেই টাকা। এবারে সেই টাকা রাজ্য সরকার ফেরত চাইতেই বেজায় চটেছেন তাঁরা। তাঁরাও তাঁদের ভোট ফেরতের আজব দাবি জানিয়েছেন।
এই বিষয়টি সামনে আসে মুখ্যমন্ত্রীর মহিলা প্রকল্পের প্রকল্পের ক্ষেত্রে। বিহার নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই রাজ্যে একটি মহিলা প্রকল্প চালু করেছিলেন। সেখানেই ওই রাজ্যের ১.৫৪ কোটি মহিলাদের আর্থিক সাহায্যের জন্য বার্ষিক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। যদিও, সরকারি রেকর্ডে এই টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অসঙ্গতি উঠে আসে। সেখানে দেখা যায়, বেশ কিছু পুরুষের অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢুকে যায়।
advertisement
দ্বারভাঙ্গার এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই জেলার জালে ব্লকে বেশ কিছু পুরুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য এই প্রকল্প হলেও পুরুষেরা হঠাৎ করেই এই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। ওই আধিকারিক জানান, মূলত তথ্য তোলার সময়েই এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
advertisement
এই সমস্যার বিষয়টি জানার পরেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই অন্যায্য সুবিধাপ্রাপকদের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাঁদের টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৪ জন পুরুষকে এই চিঠি পাঠিয়ে টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আর এই টাকা ফেরতের নির্দেশ সামনে আসতেই অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যায্য সুবিধাপ্রাপকরা মূলত গরিব এবং দুঃস্থ পরিবার হওয়ায় সমস্যা আরও তীব্রতর হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুবিধাপ্রাপক দুই পুরুষ নগেন্দ্র রাম এবং বলরাম সাহানিকে নোটিস পাঠানো হলে তাঁরা সাফ জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই গোটা অর্থরাশিই খরচ করে ফেলেছেন তাঁরা। দেনা মেটাতে গিয়ে আর সাংসারিক নানান কাজে খরচ করে ফেলেছেন তাঁরা।
advertisement
বিশেষভাবে সক্ষম বলরাম সাহানি দৈনিক ৩০০ টাকার বিনিময়ে নির্মাণকর্মী হিসাবে কাজ করেন। তিনি বলেন, “এই অর্থ ফেরত পাঠানো কার্যত অসম্ভব। আমাদের বেঁচে থাকার জন্যই এই টাকা কাজে এসেছিল।”
টাকা ফেরতের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নগেন্দ্র রাম। তিনি বলেন, “যদি এটা ভুলই হয়। তবে সরকার কেন সেই সময়েই জানাল না? কেন তিন মাস বাদে এই নোটিস এল?”
advertisement
বিহারের বহু গ্রামেই এই অসন্তোষ ধরা পড়েছে। এই প্রসঙ্গে আরও এক গ্রামবাসী বলেন, “আমরা ভোট দিলাম, তাঁরা জিতল। এবারে হঠাৎ তাঁরা টাকা ফেরত চাইছে!”
রাম নামে ওই গ্রামবাসী বলেন, “১০ হাজার টাকা পেয়ে আমরা ছটপুজো এবং দিওয়ালির সময়ে জামাকাপড় এবং অন্যান্য জিনিস কিনে খরচ করে ফেলেছি।”
এই প্রসঙ্গে প্রমীলা দেবী নামে এক মহিলা রেগে গিয়ে জানান, তাহলে তাঁদের ভোটও ফিরিয়ে দেওয়া হোক। জানা গিয়েছে, সাতটি গ্রাম থেকে এখনও পর্যন্ত এই নোটিস পেয়ে বেশ কিছু পুরুষ টাকা ফেরত দিয়েছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
মহিলা প্রকল্পের টাকা ঢুকে গেল পুরুষের অ্যাকাউন্টে! টাকা ফেরত চাইতেই রেগে লাল বিহারের গ্রামবাসী
Next Article
advertisement
Lionel Messi in Vantara: মহা আরতি, বাঘ-সিংহর সঙ্গে ছবি, হাতির সঙ্গে ফুটবল খেলা, আম্বানির বনতারা সফর মেসিকে দিল আজীবনের স্মৃতি
মহা আরতি, বাঘ-সিংহর সঙ্গে ছবি, আম্বানির বনতারা সফর মেসিকে দিল আজীবনের স্মৃতি
  • মহা আরতি, বাঘ-সিংহর সঙ্গে ছবি

  • হাতির সঙ্গে ফুটবল খেলা

  • আম্বানির বনতারা সফর মেসিকে দিল আজীবনের স্মৃতি

VIEW MORE
advertisement
advertisement