Bengaluru engineer death: 'মহিলাদের পক্ষেই সব আইন!' আক্ষেপ মৃত ইঞ্জিনিয়রের পরিবারের, বেঙ্গালুরুর ঘটনায় ক্ষোভে ফুটছে দেশ

Last Updated:

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে বিচার চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন তরুণ ওই ইঞ্জিনিয়রের পরিবার৷

প্রতীকী ছবি৷
প্রতীকী ছবি৷
বেঙ্গালুরু: একের পর এক মিথ্যে মামলা করে নির্যাতন চালাচ্ছেন স্ত্রী৷ এমনই অভিযোগ করে বেঙ্গালুরুতে তরুণ ইঞ্জিনিয়রের আত্মহত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ৷ স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর একাধিক অভিযোগ এনে আত্মঘাতী হন অতুল সুভাষ নামে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ৩৪ বছরের ওই ইঞ্জিনিয়ার৷ মৃত্যুর আগে শেষ ভিডিও বার্তায় এ দেশে আইনকে হাতিয়ার করেই পুরুষদের নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ তুলে ওই তরুণ ইঞ্জিনিয়র৷
মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারও অভিযোগ করেছেন, এ দেশের সব আইনই মূলত মহিলাদের পক্ষে৷ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে বিচার চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন তরুণ ওই ইঞ্জিনিয়রের পরিবার৷ অতুলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সমাজমাধ্যমেও বিতর্কের ঝড় উঠেছে৷ সমাজমাধ্যমে ট্রেন্ডিং হয়েছে #MenToo ৷
advertisement
advertisement
মৃত্যুর আগে চব্বিশ পাতার একটি সুইসাইড নোট এবং ভিডিও বার্তা রেখে যান তিনি৷ একের পর এক মিথ্যে মামলা করে তাঁর স্ত্রী কীভাবে তাঁকে দিনের পর দিন নির্যাতন করেছেন, তার বিবরণ দিয়ে গিয়েছেন অতুল৷ শুধু তাই নয়, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে তিনি দাবি করেন, উত্তর প্রদেশের জৌনপুরের যে আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছিল, সেখানকার মহিলা বিচারকও ঘুষের বিনিময় তাঁর মামলা ঝুলিয়ে রেখেছিলেন৷
advertisement
মৃত্যুর আগে আক্ষেপের সুরে অতুল বলে যান, ‘এই মুহূর্তে আইনকে ঢাল করেই ভারতে পুরুষদের হত্যালীলা চলছে৷’ অতুলের ঝুলন্ত দেহ যখন পুলিশ উদ্ধার করে, তখন তাঁর গলায় একটি প্ল্যাকার্ড ঝোলান ছিল৷ তাতে অতুল লিখে যান, ‘বিচার পেলাম না৷’
advertisement
অতুলের বাবা পবন কুমার জানিয়েছেন, হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়লেও নিজের ভিতরের যন্ত্রণার কথা কোনওদিন কাউকে বুঝতে দেননি তাঁর ছেলে৷ অতুলের বাবাও জানিয়েছেন, ছেলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তাঁর পুত্রবধূ৷
সদ্য সন্তানহারা ওই বৃদ্ধ বলেন, ‘আমার ছেলে বলে গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পারিবারিক বিবাদের নিষ্পত্তির দায়িত্বে থাকা আদালতগুলি ঠিক মতো কাজ করে না৷ আমার ছেলে বেঙ্গালুরুতে থাকলেও মামলা কারণে অন্তত চল্লিশ বার তাঁকে জৌনপুরে আসতে হয়েছে৷ আমার পুত্রবধূ ছেলের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করেছে৷ সেই কারণেই সম্ভবত ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল৷ কিন্তু কোনওদিন আমাদের তার আঁচ পেতে দেয়নি৷’
advertisement
পবন কুমার জানিয়েছেন, আত্মহত্যার ঠিক আগে রাত একটা নাগাদ নিজের ভাইকে একটি ই মেল পাঠান অতুল৷ তার পরই ঘটনার কথা জানতে পারেন তাঁরা৷ কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে৷ অতুলের ছোট ভাই বিকাশও আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘দেশের সব আইনই মহিলাদের জন্য৷ তিনি আরও জানান, প্রায় ৮ মাস ধরে আমার বৌদি দাদার থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছেন৷ এর পর তিনি ডিভোর্স মামলা করেন এবং আমার দাদা সহ আমাদের গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনেন৷ দেশের সব আইনই মহিলাদের পক্ষে, পুরুষদের পক্ষে কোনও আইন নেই৷ আমার দাদা এর বিরুদ্ধেই লড়তে চেয়েছিল, কিন্তু দাদাই আমাদের ছেড়ে চলে গেল৷’
advertisement
নিজের দাদার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন বিকাশ৷ তিনি বলেন, ‘দাদা সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছে যদি এই মামলায় শেষ পর্যন্ত ও নির্দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলেই ওঁর অস্থি গঙ্গায় ভাসাতে৷ তা না হলে আদালতের বাইরে কোনও নর্দমায় তা ফেলে দিতে৷’
বিকাশের আক্ষেপ, তাঁকে অথবা তাঁদের বাবাকে অতুল একবার তাঁর যন্ত্রণার কথা জানালে দাদার এই পরিণতি হতে দিতেন না তাঁরা৷ নিজের বউদির পাশাপাশি জৌনপুরের যে আদালতের বিচারকের বিরুদ্ধে অতুল ঘুষ নিয়ে তাঁকে হয়রানির অভিযোগ তুলে গিয়েছেন, সেই বিচারকের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মৃত ইঞ্জিনিয়রের ভাই৷
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Bengaluru engineer death: 'মহিলাদের পক্ষেই সব আইন!' আক্ষেপ মৃত ইঞ্জিনিয়রের পরিবারের, বেঙ্গালুরুর ঘটনায় ক্ষোভে ফুটছে দেশ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement