#লখনউ: উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট৷ মেয়ের বিয়ের সব তোড়জোর করেছিল পরিবার৷ কন্যাও বিয়ের জন্য তৈরি হয়েছিলেন৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়েটা হয়নি৷ কারণ কনে পালিয়েছিলেন বিয়ের মন্ডপ (bride fled on marriage day) থেকে৷ প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছিলেন তিনি৷ তারপর তিনি ফিরলেন প্রেমিকের হাত ধরে (Eloped with lover)৷ এলেন স্থানীয় থানায় এবং সেখানেই প্রেমিকের হাতে পরলেন সিঁদুর৷ এভাবে বিয়ে হল দু’জনের৷ থানাতেই মালা বদলও হয় এই জুটির (Viral News)৷
মউ থানা (Mou Uttar Pradesh) অন্তর্গত মাভাই খুরদ গ্রামে শত্রুঘ্ন নামে এক ব্যক্তি সুরুন্ধা গ্রামের অজয় নামে এক ছেলের সঙ্গে তার মেয়ে রানির বিয়ে ঠিক করেছিলেন। ২৯ শে মে নাচ, গান, হৈ হুল্লোড় করে অজয় বিয়ের জন্য পাত্রীর গ্রামে পৌঁছন। বিয়ের আচর রাতেই হয়েছিল৷ বাকি ছিল শুধু পাত্রের হাতে সিঁদুরদান৷ সে সব করার আগে, শৌচালয় যাওয়ার নাম করে পাত্রী পালিয়ে যান বিয়ের মন্ডপ থেকে৷ পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, প্রমিক চৌতন পটেলের সঙ্গে পালিয়েছেন তিনি৷ তখন রীতিমতো গ্রামে শোরগোল পড়ে যায়৷ এভাবে বিয়ের মন্ডপ থেকে পালানোর ফলে পাত্রীর পরিবার খুবই অস্বস্তিতে পড়ে৷
এই অবস্থায় অস্থির হয়ে পড়েন মেয়ের পরিবার৷ তখন কনের ছোট বোনের সঙ্গে পাত্রের বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ তবে কনের বোন নাবালিকা, তাই বিয়ে সম্ভব নয়৷ এবং এভাবে অপমানিত হয়ে বিয়ে করতে রাজিও হননি যুবক৷ তাই শেষ পর্যন্ত বিয়ে না করেই, নিজের গ্রামে ফিরে আসেন তিনি৷ পাত্রের বাবা, পাত্রীর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷
এরপর শুরু হয় পুলিশের খোঁজ৷ বিয়ের পিঁড়ি থেকে পালানো বউ এবং তাঁর প্রেমিকের খোঁজে চলে তল্লাশি৷ শুক্রবার, সকলকে অবাক করে প্রেমিক যুগল থানায় পৌঁছন এবং পুলিশের সামনে তাদের স্বজনদের উপস্থিতিতে একে অপরকে মালা দিয়ে বিয়ে করেন। যেহেতু দু’জনেই সাবালক, তাই বাঁধা দেওয়া সম্ভব হয়নি পুলিশের৷ থানায় এমনভাবে বিয়ে গোটা জেলার আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।