Taslima Nasreen on Surrogacy|| 'দেশে গরীব মহিলারা আছেন বলেই সারোগেসি সম্ভব', তসলিমা নাসরিনের মন্তব্যে নেট দুনিয়ায় ঝড়

Last Updated:

Taslima Nasreen talked on surrogacy controversy started: তসলিমা ট্যুইটারে লিখেছেন, "গরীব মহিলারা আছেন বলেই সারোগেসি সম্ভব। ধনীরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সবসময়েই চান সমাজে দারিদ্র থাকুক। কেউ যদি সত্যিই সন্তান চান, তাহলে কোনও গৃহহীন শিশুকে দত্তক নিন।'

#নয়াদিল্লি: অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং স্বামী নিক জোনাস 'সারোগেসি'র মাধ্যমে তাঁদের প্রথম সন্তানকে (মেয়ে) স্বাগত জানিয়েছেন। শুক্রবার মধ্যরাতে নিজেই সেই আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সঙ্গে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই 'সারোগেসি'র মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেওয়ার প্রথা নিয়ে নিজের মতামত ব্যাখ্যা করলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasreen)। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। তসলিমা ট্যুইটারে লিখেছেন, "গরীব মহিলারা আছেন বলেই সারোগেসি সম্ভব। ধনীরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সবসময়েই চান সমাজে দারিদ্র থাকুক। কেউ যদি সত্যিই সন্তান চান, তাহলে কোনও গৃহহীন শিশুকে দত্তক নিন। সন্তানকে অবশ্যই বাবা-মায়ের বৈশিষ্ট্য উত্তরাধিকারসূত্রে পেতে হবে, এটা শুধুই স্বার্থপর নার্সিসিস্টিক অহঙ্কার।"
লেখিকা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, "রেডিমেড সন্তান হাতে এলে, কীভাবে একজন মা সেই সন্তানকে মাতৃত্বের উষ্ণতার সঙ্গে প্রতিপালন করবেন? যে মা সন্তানকে জন্ম দিলেন গর্ভে ধারণ করে, তার মতো অনুভূতি কি কখনও থাকবে বাচ্চাটিকে যিনি পরবর্তীতে মানুষ করবেন তাঁর ক্ষেত্রে?" তসলিমা নাসরিনের এ হেন মন্তব্যের পর নানা মহলে শুরু হয়েছে নানা কথা। নেটিজেনদের অনেকেই তাঁর কথা যুক্তিযুক্ত বলে মনে করলেও, অনেকেই তাঁর মন্তব্যকে অনুভূতিহীন বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁদের দাবি, সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেওয়া বা সন্তান দত্তক নেওয়া একেবারেই সংশ্লিষ্ট দম্পতি বা মহিলা বা কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেখানে কারও মন্তব্য কাম্য নয়। অনেকেই আবার সারোগেট মায়েদের স্বাস্থ্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
advertisement
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: মেয়ের মা হলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কোন কোন সেলিব্রিটি সারোগেসিতে সন্তান-সুখ পেয়েছেন? জানুন...
শাহরুখ খান, আমির খান-সহ অনেক বলিউড তারকাই সন্তানলাভ করেছেন সারোগেসিতে (surrogacy)৷ তালিকায় নতুন সংযোজন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস৷ সাধারণ সারোগেসি দু'ধরনের হয়।  ট্র্যাডিশনাল সারোগেসি (Traditional Surrogacy) এবং জেস্টেশনাল সারোগেসি (Gestational Surrogacy)। ট্র্যাডিশনাল সারোগেসিতে সারোগেট মায়ের দেহে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে সন্তানের বাবার স্পার্ম প্রবেশ করানো হয়৷ এর পর নির্দিষ্ট সময়ে সারোগেট মা সন্তানের জন্ম দেন৷ তার পর নবজাতককে বড় করে তোলেন তার আইনি বাবা মা৷ এই পদ্ধতিতে সারোগেট মা-ই শিশুর বায়োলজিক্যাল মাদার৷
advertisement
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কা-নিকের কোলে আসছে কন্যা সন্তান! আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অভিনেত্রী
অন্যদিকে, জেস্টেশনাল সারোগেসিতে যাঁদের উদ্যোগে ও ব্যয়ে সারোগেসি করানো হচ্ছে, সেই দম্পতির ডিম্বাণু ও শুক্রাণুকে নিষিক্ত করা হয়৷ এর পর ভ্রূণটিকে জেস্টেশনাল সারোগেট মাদারের ইউটেরাসে প্রবেশ করানো হয়৷ এই পদ্ধতিতে সারোগেট মাদারের সঙ্গে ভূমিষ্ঠ সন্তানের কোনও বায়োলজিক্যাল সম্পর্ক থাকে না৷ কারণ ডিম্বাণু ও শুক্রাণু দু’টির উৎসই শিশুর আইনি বাবা মা৷ সারোগেট মাদার শুধু সন্তান বহন ও প্রসব করেন৷
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Taslima Nasreen on Surrogacy|| 'দেশে গরীব মহিলারা আছেন বলেই সারোগেসি সম্ভব', তসলিমা নাসরিনের মন্তব্যে নেট দুনিয়ায় ঝড়
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement