#চন্দ্রপুর: একমাত্র মায়ের পক্ষেই হয়তো এমন লড়াই করা সম্ভব! বাচ্চাকে বাঁচাতে হাতে মাত্র একটা সরু লাঠি নিয়ে নেমে পড়লেন চিতাবাঘের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। মায়ের ত্যাগ ও সংঘর্ষের আরো এক কাহিনী শুনুন তা হলে। মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলায় এক মা তাঁর সন্তানকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়ে নিল। যদিও বাচ্চা মেয়েটি এখনো বিপদমুক্ত নয়। চিতাবাঘ ছোট্ট মেয়েটির শরীরে কামড় বসিয়ে ছিল। ঠিক তখনই সন্তানকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মা। চিতা বাঘের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় লড়াই করার পর মেয়েকে উদ্ধার করেন তিনি। বন বিকাশ নিগাম লিমিটেডের বিভাগীয় প্রধান বি এম মোরে বলছিলেন, চন্দ্রপুর জেলার জুনোনো গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রাম থেকে বাইরে কোনও এক জায়গায় মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছিলেন অর্চনা মেশ্রাম নামের এক মহিলা। সেই সময় একটি চিতাবাঘ তাঁর সঙ্গে থাকা বাচ্চা মেয়েটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আচমকা চিতা বাঘের হামলায় সেই মহিলা প্রথমে প্রচন্ড ভয় পেয়ে যান। কিন্তু চিতাবাঘ তাঁর মেয়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ায় তিনি চুপচাপ বসে থাকেননি। পাশেই পড়ে থাকা একটি লাঠি কুড়িয়ে নিয়ে সেই মহিলা চিতা বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ে নেমে পড়েন।
প্রায় ২০ মিনিট চলে লড়াই। শেষ পর্যন্ত চিতাবাঘ রণে ভঙ্গ দেয়। মারের চোটে বাচ্চা মেয়েটিকে ফেলে জঙ্গলে পালিয়ে যায় সেটি। তবে ওই অল্পসময়ের মধ্যেই বাচ্চা মেয়েটির শরীর ক্ষত-বিক্ষত করেছে চিতাবাঘ। যদিও মেয়েকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে নিয়েছেন তাঁর মা। বনবিভাগের একা আধিকারিক জানিয়েছেন, বাচ্চা মেয়েটির অবস্থা সংকটজনক। তবে ওই ঘটনার পরই বনদপ্তরের কর্মচারীরা বাচ্চাটিকে চন্দ্রপুরের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় তাকে নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার নাগপুরে একটি হাসপাতালে পাঁচ বছয় বয়সী বাচ্চা মেয়েটির অস্ত্রোপচার হবে। তার শরীরের একাধিক জায়গায় জখম রয়েছে। কম সময়ের মধ্যেই চিতাবাঘ তাকে ভালরকম ঘায়েল করেছিল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cheetah, Maharasthra, Mother