#মধ্যপ্রদেশ: তা হলে কি এটাই ধরে নিতে হবে যে এই দেশ, বিশেষ করে তার অন্তর্গত এখন যে অঞ্চলকে আমরা চিনি মধ্যপ্রদেশ নামে, সেটা ছিল ডাইনোসরদের স্বর্গরাজ্য?
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে মধ্যপ্রদেশ থেকে মাঝে মাঝেই ডাইনোসরের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলছে। সম্প্রতি যেমন ভারতের এই রাজ্যের মান্দলা থেকে পাওয়া গিয়েছে ৭টি জীবাশ্মে পরিণত হয়ে যাওয়া ডাইনোসরের ডিম। সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া এই খবর বলছে যে আবিষ্কার হওয়া এই ডিমগুলোর গড় প্রস্থ ৪০ সেন্টিমিটার এবং তাদের গড় ওজন ২.৬ কেজি!
এই আবিষ্কৃত হওয়া জিনিসগুলো যে ডাইনোসরের জীবাশ্মে পরিণত হয়ে যাওয়া ডিম, অন্য কিছু নয়, সেই মর্মে সিলমোহর দিয়েছেন ডক্টর হরিসিং গৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজির অধ্যাপক প্রফেসর পি কে কথল। তিনি জানিয়েছেন যে এই ৭টি ডিম মান্দলা পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে ৪ কিলোমিটার মতন দূরত্বে অবস্থিত মোহনটোলা নামে এক এলাকা থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে।
কথল জানিয়েছেন যে ওই অঞ্চলে সম্প্রতি একটা পুকুর খোঁড়ার কাজ চলছিল। সেই সময়েই এই ডাইনোসরের জীবাশ্মে পরিণত হয়ে যাওয়া ডিমগুলি আবিষ্কৃত হয়। কথল আরও জানিয়েছেন যে এক স্থানীয় ছেলের হাতে এই ডিমগুলো প্রথম দেখেন তিনি, তার পরে সেগুলো তার কাছ থেকে উদ্ধার করেন। ঘটনাচক্রে এক বন্ধুর আমন্ত্রণে তিনি তখন মোহনটোলায় ছিলেন।
এর পর কথল ডিমগুলোকে স্ক্যানিং ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ওরফে SEM দিয়ে ভালো মতো পরীক্ষা করে দেখেছেন। এর থেকে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে এই ডিমগুলো পৃথিবীর ক্রেটাসিয়াস পর্বের। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা উচিৎ- আজ থেকে ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে যে যুগের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে, তাকেই নৃতত্ত্ববিদরা বলে থাকেন ক্রেটাসিয়াস যুগ।
এই জীবাশ্মগুলি প্রসঙ্গে আলোকপাত করতে গিয়ে কথল বলেছেন যে তৃণভোজী ডাইনোসররা এই অঞ্চলে ডিম পাড়ত, সেই জন্যই তারা এগুলোকে লুকিয়ে রেখেছিল বালির তলায়। যদিও এগুলো ঠিক কোন জাতের ডাইনোসর, সে ব্যাপারে কথল কিছু বলে উঠতে পারেননি। তাঁর দাবি- এই প্রজাতি এর আগে ভারতে দেখা যায়নি!
প্রসঙ্গত, এর আগেও মধ্যপ্রদেশের জবলপুর থেকে ডাইনোসরের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। ভারতীয় অনুষঙ্গে যার নাম রাখা হয়েছে রাজাসরাস!