Nadia: মাজদিয়ার বাজারে প্রতিবছর দেওয়া হয় ব্রহ্মার পুজো! জানুন এর কাহিনী
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
মাজদিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে করা হল ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের পুজো। প্রায় ১০০ বছরেরও পুরনো এই পূজার রয়েছে এক ইতিহাস।
#নদিয়া : মাজদিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে করা হল ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের পুজো। প্রায় ১০০ বছরেরও পুরনো এই পূজার রয়েছে এক ইতিহাস। পুজোর পুরোহিত তথা বাজার সমিতির সদস্য শম্ভুনাথ মৌলিকের থেকে জানা যায় অতীতে সীমান্তবর্তী এলাকা মাজদিয়াতে বসত হাট। সেই সময় ভারত এবং বর্তমান বাংলাদেশের বহু মানুষ নদীপথে যাতায়াতের মাধ্যমে এই হাট থেকে কেনা বেচা করতেন। জানা যায় হঠাৎই এই হাটে একদিন আগুন লেগে যায়। আগুন লেগে যাওয়ার ফলে বাজারে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। তৎকালীন পন্ডিত সমাজ বিধান দেন মাজদিয়ার বাজারকে রক্ষা করতে গেলে ব্রহ্মার পুজো করতে হবে। এবং সেই থেকেই শুরু হয় এই ব্রহ্মার পুজো। সাধারণত ব্রহ্মা পুজোর হয় তিন দিন ধরে। সেই সময় ব্রহ্মা পুজোর দ্বিতীয় দিনে দুই পাড়ার মধ্যে লেগে যায় প্রচন্ড ঝগড়া ও মারামারি। মারামারি ছেড়ে জখম হয় একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা। এবং তৎকালীন সমাজের বিচার ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকতেন মোড়লরা।
মোড়লরা সিদ্ধান্ত নেয় এর থেকে রেহাই পেতে কালীপুজোর ব্যবস্থা করতে হবে। সেই থেকে ব্রহ্মা পূজার পাশাপাশি শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের রাখি পূর্ণিমার আগে যে মঙ্গলবার আসে এই মঙ্গলবারেই প্রতিবছর করা হয় ব্রহ্মা পুজো এবং রাত্রিবেলা করা হয় রক্ষা কালীপুজো।
আরও পড়ুনঃ প্রতিবন্ধী ভাই বোনেরা রাখি পরালেন পুলিশদের
এই ব্রহ্মা পুজোর একটি বৈশিষ্ট্য হল ব্রহ্মার পুজোর পাশাপাশি তার সঙ্গে মহেশ্বর এবং বিষ্ণুর পূজা হয়। এবং এর সাথে দেওয়া হয় সাবিত্রী ও সরস্বতীর পূজা। তৎকালীন ব্রাহ্মণ সমাজ বিধান দিয়েছিলেন যে ব্রহ্মার যে মূর্তি হবে তার সাথে থাকবে বিষ্ণু ও মহেশ্বর।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ রাখি পূর্ণিমার শেষ বেলায় হরেক রকমের রাখি কিনতে ব্যস্ত সবাই
সাবিত্রী এবং সরস্বতী উহ্য থাকবে। সেই থেকেই হয়ে আসছে মাজদিয়া বাজার সমিতি এলাকায় এই পুজো। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছর ও নিয়ম মেনে করা হলো পুজো এবং খুশি মাজদিয়ার সকল ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা।
advertisement
Mainak Debnath
Location :
First Published :
August 11, 2022 8:27 PM IST