Nadia News: জগদ্ধাত্রী পুজো নাকি জন-সমুদ্র! কৃষ্ণনগর বুড়িমার প্যান্ডেলে হাজার হাজার মানুষ
- Published by:Piya Banerjee
Last Updated:
Nadia News: সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল সপ্তমী পুজোর অঞ্জলি।মানুষের ভিড় দেখলে চমকে যাবেন!
#নদিয়া: বুধবার জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনে সকাল থেকেই নদিয়ার সদর শহর কৃষ্ণনগর চাষাপাড়া বারোয়ারির বুড়িমার পূজা প্রাঙ্গণে সামনে দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। জেলা তথা জেলার বাইরে থেকে একাধিক দর্শনার্থীর ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসনও। সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল সপ্তমী পুজোর অঞ্জলি। এরপর ধীরে ধীরে অষ্টমী এবং নবমী পুজো সম্পূর্ণ করা হয়। বুড়িমার ঠাকুরের পুজো ও অঞ্জলি দেওয়ার লাইন ছাড়িয়ে গিয়েছে কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়কেও! বলা যেতে পারে দীর্ঘ দু'বছর পর আবারও পুরনো ছন্দে ফিরে এসেছে কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্য।
কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর ঐতিহ্য ও আবেগের একটি নাম চাষাপাড়া 'বুড়িমা'। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ীর পুজোর প্রচলনের পর থেকেই চাষাপাড়া বারোয়ারি অর্থাৎ বুড়িমার পূজার প্রচলন হয়ে আসছে। কথিত আছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কোনও এক সময় এই পুজোর খরচ ও ব্যয়ভার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। কীভাবে বহন করবেন এত খরচ? মা জগদ্ধাত্রী দেবী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে স্বপ্নাদেশ দেন। চাষাপাড়ার যে সমস্ত লেঠেলরা আছেন তারাই দেবীর জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করবেন। রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই এখানকার পুজো শুরু হয়েছিল বলে দাবি উদ্যোক্তাদের তবে বুড়িমা নামটা সত্তর পঁচাত্তর বছর আগে দেওয়া হয়েছিল বলে প্রবীণদের অভিমত।
advertisement
কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর সেরা আকর্ষণ বুড়িমা। এখানকার পুজো নিয়ে রাজা কৃষ্ণচ্ন্দ্র আলাদা করে স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন এ রকম গল্প কোথাও নেই। তবে রাজা নিজের বাড়ির পুজোকে অন্যদের মধ্যে ছড়াতে উৎসাহী প্রজাদের অনুদান দিতেন। এ পুজোর নাম ছড়িয়েছে গোটা দেশে, এমনকি বিদেশের বাঙালি ভক্তদের মধ্যেও। বর্তমানে সাধারণ মানুষের দান এবং চাঁদাতেই বুড়িমা পুজো সম্পন্ন হয়। জগদ্ধাত্রী পুজোর আগের দিন থেকে অসংখ্য ভক্ত দেশ তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষ্ণনগরে চলে আসে বুড়িমা দর্শনে।
advertisement
advertisement
Mainak Debnath
Location :
First Published :
November 02, 2022 6:56 PM IST