#নদিয়া: আজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। গ্রীষ্মকালে রক্তের আকাল পড়ে জেলার প্রায় সব সরকারি বড ব্যাঙ্ক গুলিতেই। তবে এই কঠিন সময়ে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে আসে রক্ত দিতে। একাধিক জায়গায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে আয়োজন করা হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন থানায় পুলিশের সহযোগিতায় আয়োজন করা হচ্ছে রক্তদান শিবিরের।
"বিশ্ব রক্তদাতা দিবস" উপলক্ষে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক এবং UGC-HRDC র প্রফেসর- ডিরেক্টর লক্ষ্মীনারায়ণ সৎপতি মহাশয়ের সাথে। একজন শিক্ষক শুধু নয়, সমাজিক বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত আছেন তিনি। "ইয়ুথ অফ বেঙ্গল" নামে একটি সরকারি রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি তিনি। বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে তিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: পরিষেবা বন্ধ অন্তঃবিভাগে, দেউলপুর হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে গবাদি পশুর দল
কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদের তিনি আহ্বান করেন সারা বছর রক্তদানের জন্য, এতে তারা সমাজের সাথে জুড়ে থাকবে, সমাজে প্রত্যেক মানুষের জন্য ভাবতে শিখবে। তিনি জানান পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অনেকাংশেই উন্নতি হলেও, রক্তের অভাবে কোনো প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তার মতে, কোনও সন্তানসম্ভবা মা তার প্রেগনেন্সি রিপোর্ট পাওয়ার পরেই যেন তাঁর রক্তের গ্রুপ টেস্ট করেন, এবং উপযুক্ত রক্তের গ্রুপের বেশ কয়েকজন ডোনার খুঁজে রাখেন প্রেগন্যান্সির অন্ততঃ তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই; তাহলে বাচ্চাকে জন্মদানের সময় রক্তের প্রয়োজন হলে সহজেই তা পাওয়া যাবে।
তিনি জানান সংগঠনের তরফে গত এপ্রিল মাসে নবদ্বীপ ব্লাড ব্যাংকে পরপর দুটি ইন- হাউস ক্যাম্প করেন তাঁরা। এছাড়াও প্রয়োজন পড়লে তাঁদের সদস্যরা ছুটে যান রক্ত দানের জন্য। তাছাড়াও আমরা ব্যক্তিগত জীবনের নানান অনুষ্ঠান, যেমন-জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, প্রভৃতি উপলক্ষে রক্তদান শিবির বা ব্লাড ব্যাঙ্কে ইন-হাউস শিবিরের আয়োজনের মাধ্যমে রক্তের চরম সংকট থেকে মুক্তি পেতে পারি।
পাশাপাশি আমরা যোগাযোগ করি সংগঠনের সম্পাদক মাননীয় জ্যোতির্ময় চক্রবর্তীর সাথে। আজকের বিশেষ দিন উপলক্ষে তিনি সমাজের প্রত্যেক সহ-নাগরিকদের একটি "অভ্যাস" করার অনুরোধ করেন," এখন মোবাইল ফোনের যুগে প্রত্যেকের ফোনে কম-বেশি মানুষের মোবাইল নম্বর তালিকাভুক্ত থাকে। আমাদের ফোনে নম্বর তালিকায় থাকা বেশিরভাগ মানুষই পরিচিত হন, এই ফোন নম্বর সেভ করবার সময় যদি আমরা ব্যক্তির নাম লেখার পাশাপাশি তার ব্লাড গ্রুপটি জেনে নিই, এবং সেটি নাম এর পাশে লিখে সেভ করি, তাহলে জরুরী পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় রক্তের গ্রুপের চাহিদা আপনাদের ফোন নম্বরের তালিকা থেকেই খুঁজে পেয়ে যাওয়া সম্ভবপর হবে। এই অভ্যাস বদল- এর মাধ্যমে জরুরি সময়ে রক্ত খোঁজার হয়রানি অনেকাংশে দূর হবে। তিনি আমাদের জানান, খুব শীঘ্রই তারা একটি "ইয়ুথ অফ বেঙ্গলের" মোবাইল ফোনের অ্যাপ্লিকেশন প্রকাশ করতে চলেছেন, যেখানে সাধারন মানুষ তার নিজ এলাকায় প্রয়োজনীয় রক্তের গ্রুপের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন অতি সহজেই।
Mainak Debnath
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।