করিমপুর: তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। তার ওপর চলছে রোজার মাস, দিন কয়েক পরেই খুশির ঈদ উৎসব। ঈদ উপলক্ষেই বিভিন্ন মুসলিম ধর্মাবলম্বনকারী মানুষদের ইফতারের ব্যবস্থা করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা। ঠিক তেমনি নিদর্শন দেখা গেল নদীয়ার করিমপুরে।
করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায় করিমপুর সংলগ্ন এলাকাতেই একটি ইফতারের এবং বিনামূল্যে বস্ত্র বিতরণের ব্যবস্থা করেন। সেখানেই দেখা যায় বেশ কিছু গরিব মানুষদের তিনি বস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি কম্বল বিতরণ করেন। আর এখানে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
অনেকেই মন্তব্য করছেন তীব্র গরমে যেখানে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ, সেখানে কম্বল বিতরণ কোনও যুক্তিসঙ্গত নয়। তবে কী কারণে করে বিমলেন্দু সিংহ রায় এই গরমের মধ্যেও বস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি গরিব মানুষদের কম্বল বিতরণ করলেন তার প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন - 'বিজেপিতে ছিলাম-আছি-থাকব', জল্পনা শেষে জানিয়ে দিলেন মুকুল রায়! তৃণমূলে যোগের কারণও 'ফাঁস'
আরও পড়ুন - নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যেই সারদা, রোজভ্যালি নিয়ে বিরাট নির্দেশ হাই কোর্টের! তোলপাড় বাংলা
বিমলেন্দু বাবু জানান, "সামনে ঈদ, সেই উপলক্ষেই প্রত্যেক বছরই মানুষদের শাড়ি, ধুতি, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি এবং বাচ্চাদের পোশাক দিয়ে থাকি। প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও সেই মোতাবেক আয়োজন করেছি। আমার দুটি ব্লক, একটি ব্লক এক এবং অপরটি ব্লক দুই। কিছুদিন আগেই দুটি ব্লকের ১৪ টি পরিবার আগুনে ভস্মিভূত হয়ে বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বস্ত্র বিতরণের সময় ওদেরকেও আমি ডেকেছি।
যেহেতু বাড়িঘর পুড়ে ওদের সর্বস্ব নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে যাতে অন্ততপক্ষে কম্বলের ওপরে রাতের বেলা শুতে পারেন ওই অসহায় পরিবারগুলি, সেই হিসেবেই বস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে সেই সমস্ত পরিবার গুলিতে। এই সমস্ত কম্বলগুলি যদি ওদের দরকার হয় ওরা নিতে পারে ওদেরকে দেওয়া হয়েছে।"
মৈনাক দেবনাথ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Karimpur