নদিয়া: সারমেয় বা পোষ্য বেশিরভাগ মানুষেরই খুবই পছন্দের। অনেকেই গৃহপালিত পশু পোষেন নিজের বাড়িতে। কেউ একাকীত্ব দূর করতে কেউবা একজন ভালো সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার জন্য বাড়িতে বিভিন্ন গৃহপালিত পশু বা পাখি নিয়ে আসেন বাড়ির সদস্য হিসেবে। শহরের দিকে কুকুর বিড়াল বা বিভিন্ন ধরনের পাখি অথবা রঙিন মাছ পুষলেও গ্রামের দিকে দেখা যায় একাধিক বাড়িতে গরু ছাগল কিংবা মহিষ। এই গরু বা মহিষের দুধ বিক্রি করে একাধিক গ্রামের মানুষেরা তাদের রোজগারের পথ খুঁজে নেন। তবে সবাই যে রোজগারের জন্য গরু,ছাগল,মহিষ পোষেন তাও নয়, অনেকেই পোষেন একান্তই নিজের শখের কারণে। ঠিক তেমনই এক নিদর্শন পাওয়া গেল নদিয়ার চাকদহ শহরের জগদীশপুর এলাকায়। চাকদহ জগদীশপুরের বাসিন্দা ঝর্ণা মজুমদার। তার রয়েছে সুন্দর একটি গৃহপালিত গরু।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হল যে কয়েকদিন আগেই গরুটি একসাথে তিনটি বাছুর প্রসব করে। সাধারণত দেখা যায় যে কোনো গরু একটি অথবা দুটি বাচ্চা একসাথে প্রসব করে, কিন্তু একসাথে তিনটি বাচ্চা প্রসব করে ঝর্ণা মজুমদারের গরু এখন পাড়ায় বিখ্যাত। আপাতত সুস্থই রয়েছে তিনটি বাছুর। তিনটির মধ্যে দুটি ছেলে বাছুর ও একটি মেয়ে।
আরও পড়ুনঃ সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে দুয়ারে সরকারের আয়োজনতবে আর্থিক দিক থেকে ঝর্ণা মজুমদারের অবস্থা ভালো নয়। সেই কারণে একসাথে তিনটি বাছুর ও তার স্পর্শ গরুকে লালন-পালন করা পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো তার দ্বারা সম্ভব হচ্ছে না বলে। তিনি জানান তার গরু রাখার গোয়াল ঘর পর্যন্ত নেই। গরু সমেত তিনটি বাছুরকে একসাথে পোষার ক্ষমতা তার নেই।
আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্র থেকে ২৩ লক্ষ টাকার সোনা চুরির অভিযোগে গ্রেফতার শান্তিপুরের যুবকএভাবে চলতে থাকলে তিনি বাছুর গুলি কে বাঁচাতে পারবেন না বলে জানান। তিনি চান কোন সহৃদয় ব্যক্তি তাকে সাহায্য করুক। এখন দেখা যাক ঝর্ণা মজুমদারের আর্জি শুনে কেউ এগিয়ে আসেন কিনা!
Mainak Debnathনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।